বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

দুই কর্মকর্তার আর ইজারাদারের হাতে জিম্মি রাজধানীর পশু ব্যবসায়ীরা

ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ):  ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তরের অসাধু দুই কর্মকর্তা আর ইজারাদারদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে রাজধানীর পশু ব্যাবসায়ীরা। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো সরকারি রেট থেকে বর্ধিত হারে টেক্স ও হাসিল আদায় করছে। এমনকি এই বর্ধিত টাকা পরিশোধ না করলে হয়রারি ও নির্যাতনেরও অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীরা।
এর প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে মাংশ ব্যাবসায়ীরা।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি যৌথভাবে এই কর্মসূচি আয়োজন করে।
মাংশ ব্যাবসায়ীরা জানান, আগে জবাই করা পশু প্রতি সরকারি টেক্স ছিল ১০ টাকা এরপর তা বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয় এখন এই ফি বৃদ্ধি করে ৮০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত আদায়করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঈদ মৌসুমে হাটে গুরু প্রতি সরকারি টেক্স ২১ টাকা থেকে তারা বাড়িয়ে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে হাট মালিক ও ইজারাদাররা। আর এসবই করা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন উত্তরের দুইজন অসাধু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায়।
ব্যাবসায়ীরা আরো জানান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) সৃষ্টি হবার পর একটিও জবাইখানা নির্মাণ করা হয়নি বরং চলতি তিনটি জবাইখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের বাড়ি, দোকানের সামনেই পশু জবাই করতে হয়। এমনকি জবাইকৃত পশুর রক্ত ও বর্জ্য তাদের নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হয়।
তারা আরো জানান, অবিলম্বে মাংসের উপর বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করা না হলে মাংসেরে দাম বৃদ্ধি করে বর্ধিত ফি পরিশোধ করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবেনা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ মো. আঃ বারেকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদশে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু,  মহাসচিব রবিউল আলম, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহামেদসহ কয়েক’শ মাংশ ব্যাবসায়ী।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন