ছবির মতোই সুন্দর ছিল আমার গ্রামটা...

বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন উপায় থাকতোনা। যেন মহসড়কের পাশে বিচ্ছিন্ন ছোটএকটা দ্বীপ।

সমস্যা যত বড়ই হোক, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে

আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷

ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের সব দর্শনীয় স্থানে

অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়ই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা আমাদের দেশকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। শত বছর ধরে লাখো পর্যটককে করেছে আকৃষ্ট।

মানবসেবাই সর্বোত্তম ধর্ম: ফাদার তেরেসা

অসহায়, দুস্থ মানুষের সহায়তাই তার ধ্যান-জ্ঞান।সহিংসতার বিপরীতে তিনি অসহায়ের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন।তিনি পাকিস্তানের আবদুল সাত্তার ইদি।অসম্ভব মানবসেবার কারনে ৮৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার দেশে ফাদার তেরেসা নামেই বেশি পরিচিত।

‘মানসিক প্রশান্তির জন্য সাইকেল’

যাত্রা পথে পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তা আর ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বিকল্প হলো একটা বাই সাইকেল। তাছাড়া ইদানিং স্বাস্থ্যটার দিকেও মনে হচ্ছে একটু যত্ন নেয়া দরকার।

রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪

ঐতিহ্য ফেরাতে আধুনিক যুগে আমিরের ডিজিটাল পালকি

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যে মিশে আছে পালকি। একসময় পালকি না হলে বিয়েই হতো না। তাছাড়া অবস্থা সম্পন্ন মহিলাদের দূরদূরান্তে যাতায়াতের জন্যও ব্যবহৃত হতো পালকি। একসময় পালকির বেশ কদর থাকলেও আধুনিক সভ্যতার উৎকর্ষের সঙ্গে পালকির প্রচলন উঠেই গেছে। আজকাল কোথাও আর পালকি দেখাই যায়না।

তবে আধুনিক যুগে পালকিতে চাকা লগিয়ে প্রায় ৩০০ বছর আগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনলেন বগুড়ার আমির হোসেন। তিনি তৈরী করেছেন চাকা বিশিষ্ট বিশেষ ধরনের পালকি। প্রাচীণ পালকি আর কয়লা চালিত রেলের ডিজাইনে তৈরী এই বিশেষ ধরণের পালকি চলবে প্রেট্রোল ইঞ্জিনে। যার গতি কিছুটা কম। ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে চলছে বাহনটি।

পালকিতে তিনজন করে বেহারা থাকতেন। তাদের পোশাক ছিল লাল ফতুয়া, হাতে থাকত লাঠি ও লাঠির মাথায় থাকত বল্লম। পরনে সাদা ধুতি, মাথায় থাকত গামছা বাঁধা। বর-কনে দুজনই পালকিতে বসে থাকতেন। এখনকার প্রজন্ম জানেই না বা দেখেওনি পালকি জিনিসটা কি বা কোন কাজে ব্যবহৃত হতো। তাই নতুন রূপে চাকা লাগিয়ে ইঞ্জিনের সঙ্গে সেটিং করে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পালকি নতুন রূপে ফিরিয়ে আনেন আমির হোসেন।


আমির হোসেন জানান, শিশু পার্ক কিংবা দেশের যেগুলো কমিউনিটি সেন্টার আছে সেগুলোতে এ অটোপালকি সংযোজন করতে পারলে এর মান আরও বাড়বে। পালকিটিতে আসন সংখ্যা রয়েছে ২২টি। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো যাবে আসন। পালকিটি প্রতি ঘণ্টায় পেট্রোলে ১২ কিমি. চলবে। এ পালকির গতি ৩০ থেকে ৬০ কিমি.। যন্ত্রচালিত পালকিটির মূল্য পড়বে আট লাখ টাকা।

তিনি জানান, সরকার চাইলে বিদেশী অতিথিদের এয়ারপোর্ট থেকে অভ্যর্থনা দিয়ে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এ পালকি। এতে তারা অবাক হবেন ও এতে করে দেশের মান আরও বাড়বে।

৮০ বছরের কলিমুদ্দিন প্রাং জানান, এ রকম কয়লাচালিত রেলগাড়ি করে কলকাতা ঘুরে এসেছি। এত বছর পর ঠিক এ রকম রেলগাড়ি চোখে পড়ল। ভাবাই যায় না।

খাতেমন বিবি জানান, আমার বয়স যখন ১৬ বছর, তখন আমার বাবা-জ্যাঠা এ করম পালকি আমার বিয়েতে ব্যবহার করেন। -আকতারের ক্যানভাস


রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

ঘাস কেটে কোটিপতি!

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর বড়ইপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর (৫০)। এক সময় নুন আনতে যার পান্তা ফুরাত, এখন তিনি কোটিপতি। নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করে কয়েকবছরে তিনি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। তার সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে এ ঘাসের চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন একই এলাকার আরও কয়েকজন কৃষক।

গফুর জানান, ২০০৫ সালের কথা। তখন দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। স্ত্রীর পরামর্শে সমিতি থেকে সাত হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি গাভী কেনেন। পরে গাভীর ভালো খাবার যোগাড় করতে গিয়ে জানতে পারেন নেপিয়ার ঘাসের কথা। সেই নেপিয়ার ঘাসই তার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। নেপিয়ার ঘাস বিক্রি করে বর্তমানে ১০ বিঘা জমি, পাকা বাড়িসহ সোয়া কোটি টাকার মালিক গফুর।

তিনি জানান, পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসক মোস্তফা কামালের পরামর্শে নেপিয়ার ঘাস চাষ শুরু করেন। প্রথমে নিজেই পাঁচ শতক জমিতে ঘাস লাগান। ধীরে ধীরে তিনি ঘাস চাষের পরিমাণ বাড়াতে থাকেন। ২০০৯ সালেও বর্গা নেয়া তিন বিঘা জমিসহ মোট সাত বিঘা জমিতে নেপিয়ার চাষ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিকভিত্তিতে নিজের ১০ বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেন। প্রতিমাসে ঘাস বিক্রি করছেন ৯০ হাজার টাকা। খরচ বাদে তার মাসিক আয় ৭০ হাজার টাকা।

তার পরিবারের সদস্য ৬ জন। স্ত্রী আছিয়া বেগম গৃহিণী। বড় ছেলে আতিয়ার রহমান ও দ্বিতীয় ছেলে ফারুক হাসান তার সঙ্গে ঘাষ চাষ করেন। ছোট ছেলে শাকিল অষ্টম ও একমাত্র মেয়ে ফারহানা সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে।

গফুর আরও জানান, ঘাস ব্যবসার আয় দিয়ে তিনি পাকা বাড়ি, ১০ বিঘা জমি, দুইটি গাভী, দুইটি শ্যালো মেশিনসহ প্রায় সোয়া কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।



তিনি জানান, তার দুই ছেলে ছাড়াও পাঁচজন শ্রমিক প্রতিদিন রিকশা-ভ্যানযোগে পলাশবাড়ী, ঢোলভাঙ্গা, ধাপেরহাট ও গাইবান্ধা শহরে ঘাস বিক্রি করেন। নতুন বছরে আরও দশবিঘা জমিতে ঘাসচাষ ও ডেইরি ফার্ম করার প্রয়োজনীয় যোগাড়-যন্ত্র শেষ করে এনেছেন বলে জানান কৃষক আব্দুল গফুর।



সরেজমিনে দেখা যায়, আব্দুল গফুরের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাসুদ মিয়া, সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদসহ অর্ধশতাধিক কৃষক নেপিয়ার ঘাস চাষ করছেন।

মাসুদ মিয়া বলেন, আগে এই ঘাস সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। গফুর ভাইয়ের সাফল্য দেখে আমিও একবিঘা জমিতে ঘাসচাষ করছি। এ থেকে প্রতিমাসে নয় হাজার টাকা আয় হচ্ছে।

একই গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে ঘাসচাষ করেছি।নিজের গাভীকে খাওয়ানোর পরও মাসিক চৌদ্দ হাজার টাকার ঘাস বিক্রি করতে পারছি।

দেড় বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ওই গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুর রশিদ।

গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, গাইবান্ধা জেলায় একমাত্র আব্দুল গফুরই বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ করছেন। এ ঘাস গবাদি পশুর একটি আদর্শ খাদ্য। এ কারণে চাহিদাও ব্যাপক। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে এসব কৃষককে সহায়তার পাশাপাশি সাফল্যের ভিডিও চিত্র ধারণ করে বিভিন্ন সেমিনারে প্রদর্শন করে কৃষকদের নেপিয়ার ঘাস চাষে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৪

স্কার্ট কিংবা খাটো পোশাক পড়া উচিৎ নয় : আকিল মালিক

খোলামেলা ও আটশাট পোশাক পড়ে মঞ্চে উঠায় উপস্থাপিকা গওহারকে থাপ্পড় মেরেছেন আকিল মালিক নামে এক যুবক। ভারতীয় দৈনিক মিড-ডে বলছে, ২৪ বছর বয়সী আকিল মালিককে নিজের এই কাণ্ডে মোটেও বিব্রত কিংবা অনুতপ্ত বলে মনে হয়নি। বরং নিরাসক্ত ভঙ্গিতে দেওয়া বিবৃতিতে মালিক বলেন, খাটো পোশাক পড়ে যেসব নারীরা পুরুষদের 'মাথা নষ্ট' করে দেয় এবং ধর্ষণের মতো অপরাধ করতে বাধ্য করে তাদের হাত থেকে নিজেকে এবং অন্য তরুণদের রক্ষা করতেই তিনি এই কাজ করেন।

তিনি আরও বলেন, "অভিনেত্রীরা সমাজের প্রতিনিধি। তাদের স্কার্ট কিংবা খাটো পোশাক পড়া উচিৎ নয়। কারণ এতে তরুণরা তাদের প্রতিভাবে শারীরিকভাবে আকৃষ্ট হয়। আজকাল অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরাও ধর্ষণ এবং যৌন উৎপীড়ণের মতো অপরাধ করছে। এবং তারা পকেটে অভিনেত্রীদের অশ্লীল ছবি নিয়ে ঘোরে। অভিনেত্রীরা যদি সংক্ষিপ্ত পোশাক পড়া বন্ধ করে তাহলে অপরাধ কমে যাবে এবং একটি উন্নত সমাজের দিকে আমরা এগিয়ে যাবো।"

আকিল মালিক পেশায় একজন জুনিয়র আর্টিস্ট। সংগীতভিত্তিক রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়াস র স্টার’-এর সেটে তিন দিন ধরে কাজ করছিলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থাপিকা হিসেবে ছিলেন গওহার।

পুলিশকে আকিল জানান, তিন দিন ধরে গওহারকে খোলামেলা পোশাকে চলাফেরা করতে দেখে তার প্রতি শারীরিকভাবে আকৃষ্ট বোধ করছিলেন আকিল, কিন্তু নিজেকে সামলে নেন। অবশেষে তৃতীয় দিন অর্থাৎ অনুষ্টানের চূড়ান্ত পর্বের শুটিং চলাকালে গওহারকে তিনি প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাদের ধর্মে এ ধরনের পোশাক পরা অনুমোদিত নয়। কিন্তু বাক-বিতণ্ডা শুরু হওয়ায় আড়াই হাজার দর্শক এবং ২৫০ জন নিরাপত্তাকর্মীর সামনে গওহারকে চড় মারেন তিনি।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে গওহারকে অভদ্রভাবে স্পর্শ করারও অভিযোগ আনা হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং আদালত তাকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, চলতি বছরের অগাস্টে আবু ধাবি থেকে মুম্বাইতে আসেন আকিল। আবু ধাবিতে বেয়ারা হিসেবে কাজ করতেন তিনি। মুম্বাইতে গাড়িচালক হিসেবে কাজ নেন আকিল। পাশাপাশি জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে ফিল্ম সিটিতে কাজ করছেন। ভবিষ্যতে অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা আছে তার।

কি ঘটেছিল সে দিন: সেদিন ছিলো বলিউডে স্টার টিভিতে ইন্ডিয়ান র-স্টার এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান। ঝাঁক জমক পূর্ণ এই অনুষ্ঠান তখন লাইভ দেখানো হচ্ছিলো। মঞ্চে উপস্থিত হলেন মুসলিম প্রেজেন্টার গওহার। পড়নে আট সাট টাইট ও খোলা মেলা দামী গাউন।

অনুষ্ঠান স্থলে তখন ২৫০০০ দর্শক উপস্থিত, আছেন ৭০জন নিরাপত্তা রক্ষী। তার উপর স্টার টিভির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীও ছিলো। এমন টাইট সিকিউরিটি ভেদ করে আকিল মালিককে দেখা গেলো মঞ্চে উঠে যেতে। তিনি আস্তে ধীরে মঞ্চে উঠেই প্রেজেন্টার গওহারের গালে চড় দিলেন বসিয়ে আর বলতে লাগলেন, একজন মুসলিম নারী হয়ে আট সাট খোলামেলা পোশাক পরিধানের জন্য তিনি চড় মেরেছেন। অবশ্য নিরাপত্তা রক্ষীদল তাকে ধরে ফেলেন এবং পুলিশে সোপর্দ করেন।
চড় খেয়ে গওহার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাকে ঘিরে ধরেন উপস্থিত তার টিম ও স্টার টিভির লোকজন। তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বের হয়ে যান নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে। অনেক চেষ্টার পর তাকে শান্ত করে প্রায় এক ঘন্টা দেরীতে আবার তিনি মঞ্চে ফিরে এলে অনুষ্ঠান চলতে থাকে যথারীতি।