তবে আধুনিক যুগে পালকিতে চাকা লগিয়ে প্রায় ৩০০ বছর আগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনলেন বগুড়ার আমির হোসেন। তিনি তৈরী করেছেন চাকা বিশিষ্ট বিশেষ ধরনের পালকি। প্রাচীণ পালকি আর কয়লা চালিত রেলের ডিজাইনে তৈরী এই বিশেষ ধরণের পালকি চলবে প্রেট্রোল ইঞ্জিনে। যার গতি কিছুটা কম। ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে চলছে বাহনটি।
পালকিতে তিনজন করে বেহারা থাকতেন। তাদের পোশাক ছিল লাল ফতুয়া, হাতে থাকত লাঠি ও লাঠির মাথায় থাকত বল্লম। পরনে সাদা ধুতি, মাথায় থাকত গামছা বাঁধা। বর-কনে দুজনই পালকিতে বসে থাকতেন। এখনকার প্রজন্ম জানেই না বা দেখেওনি পালকি জিনিসটা কি বা কোন কাজে ব্যবহৃত হতো। তাই নতুন রূপে চাকা লাগিয়ে ইঞ্জিনের সঙ্গে সেটিং করে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পালকি নতুন রূপে ফিরিয়ে আনেন আমির হোসেন।
আমির হোসেন জানান, শিশু পার্ক কিংবা দেশের যেগুলো কমিউনিটি সেন্টার আছে সেগুলোতে এ অটোপালকি সংযোজন করতে পারলে এর মান আরও বাড়বে। পালকিটিতে আসন সংখ্যা রয়েছে ২২টি। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো যাবে আসন। পালকিটি প্রতি ঘণ্টায় পেট্রোলে ১২ কিমি. চলবে। এ পালকির গতি ৩০ থেকে ৬০ কিমি.। যন্ত্রচালিত পালকিটির মূল্য পড়বে আট লাখ টাকা।
তিনি জানান, সরকার চাইলে বিদেশী অতিথিদের এয়ারপোর্ট থেকে অভ্যর্থনা দিয়ে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এ পালকি। এতে তারা অবাক হবেন ও এতে করে দেশের মান আরও বাড়বে।
৮০ বছরের কলিমুদ্দিন প্রাং জানান, এ রকম কয়লাচালিত রেলগাড়ি করে কলকাতা ঘুরে এসেছি। এত বছর পর ঠিক এ রকম রেলগাড়ি চোখে পড়ল। ভাবাই যায় না।
খাতেমন বিবি জানান, আমার বয়স যখন ১৬ বছর, তখন আমার বাবা-জ্যাঠা এ করম পালকি আমার বিয়েতে ব্যবহার করেন। -আকতারের ক্যানভাস