শনিবার, ১৪ জুন, ২০১৪

বাবা কতদিন...কত রাত দেখিনা তোমায়

বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,/ কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়/
বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়।

ব্যাণ্ড শিল্পী জেমসের এই গাওয়া গানটি শোনার পর সম্ভবত পৃথিবীর কোন সন্তান নেই যে তার বাবার কথা মনে পড়েনা বা বাবার জন্য মনটা একটু হলেও কেদে ওঠেনা। এটাই সম্ভবত আবেগ। ভালবাসার আবেগ। রক্তের টান। দিন দিন আমাদের নগর জীবনের যান্ত্রিকতায় হয়তো অনেক সময় সেই আবেগ চাপা পড়ে যায়। পার্থিব চাওয়া পাওয়ার কারণে হয়তো বাবা ছেলের মাঝে তৈরী হয় একধরণের অদৃশ্য দেয়াল। বাহ্যিক সামাজিক দৃষ্টিতে যতই দেয়াল গড়ে উঠুক সন্তানের জন্য বাবার ভালবাসায় কিন্তু কোন খুত তৈরী হয়না। যেটা হয় সেটা অতি সামান্য সময়ের জন্য। হয়তো নিজেদের ব্যর্থতাগুলো ঢাকবার একটা মিথ্যা প্রয়াস। সন্তানের জন্য বাবার, বাবার প্রতি সন্তানের ভালবাসার ঘাটতি হয়না কখনোই। এই ভালবাসা অটুট থাকে চিরকাল। জাগতিক চোখ দুইটা হয়তো জলে না ভিজলেও অন্তচক্ষুতে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চলে সব সময়। একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলেই সেটা ধরা পরে। এটাই বাবার প্রতি সন্তানের বা সন্তানের প্রতি বাবার ভালবাসা। এই ভালবাসা ঐশি । খোদার দেওয়া স্পেশাল মানবিক গুণ।

ভাষা ভেদে শব্দ বদলায়। স্থান ভেদে বদলায় উচ্চারণও। তবে বদলায় না রক্তের টান। জার্মানিতে যিনি ‘ফ্যাট্যা’, বাংলায় তিনি ‘বাবা’। ইংরেজ সন্তান যতটা আপ্লুত হয়ে ‘ফাদার বা ড্যাড’ ডাকে, ভারতীয়দের ‘পিতাজি’ নিশ্চয় একই ব্যঞ্জনা তৈরি করে।

বাবার প্রতি সন্তানের সেই চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে। তার পরও পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিনকে বাবার জন্য রেখে দিতে চায়। যেমনটা মায়ের জন্য করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাবা দিবসের প্রচলন। আজ বছর ঘুরে সেই রোববার, বিশ্ব বাবা দিবস।

বিভিন্ন  দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে বাবা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।

সন্তানের কাছে বাবা বন্ধুর মতো। কারও বাবা পথপ্রদর্শক। অনেকেই বাবাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। অনেক দেশে কার্ডও উপহার দেওয়া হয়। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তাঁরা হয়তো আকাশে তাকিয়ে অলক্ষ্যে বাবার স্মৃতি হাতড়ায়।

বাবা দিবসের প্রচলন বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই। ১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিতৃদিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণার বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আজকের এই বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি রইল শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। আর যেসকল বাবা আজ আর পৃথিবীতে বর্তমান নেই তাদের আত্নার প্রতি রইল দোয়া। তাদের জন্য মহাল আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন সকল বাবাকে ক্ষমা করে দিয়ে তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করেন।

‘রাব্বির হামহুমা কামা..রাব্বািইয়া নি..সগিরা’ হে আল্লাহ তুমি আমার পিতা-মাতার প্রতি যে ভাবে লালন পালন করেছে, তেমনি তুমিও তাদের প্রতি ঐরুপ সদয় আচরণ কর। আমিন।
ভাষা ভেদে শব্দ বদলায়। স্থান ভেদে বদলায় উচ্চারণও। তবে বদলায় না রক্তের টান। জার্মানিতে যিনি ‘ফ্যাট্যা’, এই বাংলায় তিনি ‘বাবা’। ইংরেজ সন্তান যতটা আপ্লুত হয়ে ‘ফাদার বা ড্যাড’ ডাকে, ভারতীয়দের ‘পিতাজি’ নিশ্চয় একই ব্যঞ্জনা তৈরি করে।
বাবার প্রতি সন্তানের সেই চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে। তার পরও পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিনকে বাবার জন্য রেখে দিতে চায়। যেমনটা মায়ের জন্য করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাবা দিবসের প্রচলন। আজ বছর ঘুরে সেই রোববার, বিশ্ব বাবা দিবস।
বিভিন্ন দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে বাবা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।
সন্তানের কাছে বাবা বন্ধুর মতো। কারও বাবা পথপ্রদর্শক। অনেকেই বাবাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। অনেক দেশে কার্ডও উপহার দেওয়া হয়। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তাঁরা হয়তো আকাশে তাকিয়ে অলক্ষ্যে বাবার স্মৃতি হাতড়ায়।
বাবা দিবসের প্রচলন বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই। ১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিতৃদিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণার বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
- See more at: http://nationnews24.com/index.php/nation/item/13352-%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8#sthash.xF3iJvoR.dpuf

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন