ছবির মতোই সুন্দর ছিল আমার গ্রামটা...

বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন উপায় থাকতোনা। যেন মহসড়কের পাশে বিচ্ছিন্ন ছোটএকটা দ্বীপ।

সমস্যা যত বড়ই হোক, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে

আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷

ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের সব দর্শনীয় স্থানে

অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়ই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা আমাদের দেশকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। শত বছর ধরে লাখো পর্যটককে করেছে আকৃষ্ট।

মানবসেবাই সর্বোত্তম ধর্ম: ফাদার তেরেসা

অসহায়, দুস্থ মানুষের সহায়তাই তার ধ্যান-জ্ঞান।সহিংসতার বিপরীতে তিনি অসহায়ের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন।তিনি পাকিস্তানের আবদুল সাত্তার ইদি।অসম্ভব মানবসেবার কারনে ৮৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার দেশে ফাদার তেরেসা নামেই বেশি পরিচিত।

‘মানসিক প্রশান্তির জন্য সাইকেল’

যাত্রা পথে পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তা আর ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বিকল্প হলো একটা বাই সাইকেল। তাছাড়া ইদানিং স্বাস্থ্যটার দিকেও মনে হচ্ছে একটু যত্ন নেয়া দরকার।

রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪

জীবনের নিরাপত্তার জন্য এখনো আসছে রোহিঙ্গারা

কক্সবাজারের নাফ নদী পার হয়ে অবৈধভাবে এখনো মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা আসছে বাংলাদেশে। অন্যকোন উদ্দেশে্য নয়, শুধুমাত্র জীবনের নিরাপত্তার জন্যই তারা নিজেদের বাপ-দাদার ভিটে ও সম্পদ ছেড়ে তারা বাংলাদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।


সপ্তাহখানেক আগে নাফ নদী পারি দিয়ে উখিয়ার অনিবন্ধনকৃত রোহিঙ্গা শিবিরে আত্মীয়ের কাছে স্বপরিবারের উঠেছেন রুহুল আমীন। তার স্ত্রী এবং নয়জন ছেলে-মেয়েসহ ১১ জনের সংসার। তিনি আরেকটি পরিবারের সাথে মোট ১৭ জনের দল নিয়ে নৌকা ভাড়া করে মিয়ানমারে নিজের ভিটে-মাটি ছেড়ে চলে এসেছেন।

মিয়ানমার সরকার বলেছে, মিয়ানমারের নয়। তোমরা বাঙালি। তারা আমাদের নিজের মা-বোনকে নির্যাতন করে। আমাদের সম্পদের ওপর অধিকার দেয় না। সেজন্য চলে এসেছি।

আব্দুল হাফেজ নামের এক শরণার্থী বলেন, “আমরা সতেরো জন দলবদ্ধ হয়ে নদীর পারে নারিকেল বাগানে একরাত কাটিয়েছি। নৌকা না পাওয়ায় পরের দিনও ওই নারিকেল বাগানে কাটিয়েছি। এর পরের দিন ২৫ হাজার টাকায় নৌকা ভাড়া করে সীমান্তের পাহাড়া এড়িয়ে আমরা নাফ নদী পারি দিয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে উঠেছি। শাহপরী দ্বীপ থেকেই আমরা এই শিবিরে আত্মীয়ের কাছে এসেছি।”

রুহুল আমীনের ভাষায়, মিয়ানমারে কিছু দিন ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর বড় ধরনের কোনো আক্রমণ হয়নি। কিন্তু নির্যাতন হচ্ছে ভিন্নভাবে। রোহিঙ্গাদের জন্য দম বন্ধ করা একটা পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে। যেখানে তাদের মৌলিক অধিকারগুলোও কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সেই অবস্থা থেকে পরের প্রজন্মকে বাঁচাতে সব পিছুটান ফেলে আমীন সীমান্ত পারি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “মিয়ানমারে আমরা চলাফেরা করতে পারি না। বাধা দেয়। এ ঘর থেকে অন্য ঘরে যেতে পারি না। এক পাড়া থেকে আরেক পাড়ায় যেতে পারি না। হাটে বাজারে মসজিদেও নামাজ পড়তে যেতে পারি না। সেখানে থেকে লাভ কী। এই বন্ধ জীবন ছেড়ে আমরা এখন খোলামেলায় চলে এসেছি।”

নিয়মিতভাবে না হলেও রোহিঙ্গারা এখনো আসে। তবে তাদের বাধা দেওয়া হয়। রুহুল আমীনের মতো আরো চারটি পরিবারের আটত্রিশ জনের দল দু’টি ছোট নৌকা ভাড়া করে টেকনাফে এসেছে অগাষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে। এদের একটি পরিবার নাফ নদীর তীরেই গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

নয় সদস্যের এই পরিবারটির কর্তা আব্দুল হাফেজ নিরাপত্তার প্রশ্নে জন্মস্থান ছেড়ে আসার কথা বললেন। তার বক্তব্য হচ্ছে, এখন গোপন হত্যা এবং স্ত্রী মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে তিনি সব মায়া ত্যাগ করেছেন।

তিনি বলেন, “মিয়ানমার সরকার বলেছে, মিয়ানমারের নয়। তোমরা বাঙালি। তারা আমাদের নিজের মা-বোনকে নির্যাতন করে। আমাদের সম্পদের ওপর অধিকার দেয় না। সেজন্য চলে এসেছি।”

আব্দুল হাফেজ আরো বলছিলেন, “পৃথিবীতে আমাদের রোহিঙ্গাদের আসলে কোনো দেশ নেই।”

এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, রোহিঙ্গারা এখন দলে দলে আসছে না। মাঝেমধ্যে দু’একটি পরিবারের অনুপ্রবেশ ঘটছে। আগের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক কম। এরপরও অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও প্রশাসন বলছে।
নাফ নদীর সীমান্তের মূল অংশে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়ন কাজ করে। এই ব্যাটালিয়নের পরিচালক আবু জার আল জাহিদ বলেছেন, “রোহিঙ্গারা মূলত চিকিৎসা করানোর জন্যে বাংলাদেশে আসে। এছাড়া নাফ নদীর তীরে দুই পাশে আতœীয় স্বজন আছে, তাদের কাছেও আসে। অনেক সময় তিন বা সাতদিনের ভিসা নিয়ে এসে থেকে যায়।”

বিজিবির কর্মকর্তা আরো উল্লেখ করেছেন,নিয়মিতভাবে না হলেও রোহিঙ্গারা এখনো আসে। তবে তাদের বাধা দেয়া হয়। এছাড়া গত দু’বছরের তুলনায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা অনেক কম।

স্থানীয় পুলিশ মনে করে, চিকিৎসার পাশাপাশি বাণিজ্য চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গারা তিন বা সাত দিনের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে একটা বড় অংশ থেকে যাচ্ছে।আর অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কমবেশি সবসময়ই থাকছে।

টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকাগুলোতে অভিযান অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নতুনরা এসে অনিবন্ধনকৃত শিবিরে বা এর বাইরে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গা আত্মীয়দের কাছে প্রথমে আশ্রয় নিচ্ছেন। এরপর নিজের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। তবে সপ্তাহখানেক আগে অবৈধভাবে হলেও শেষপর্যন্ত রুহুল আমীন সপরিবারে টেকনাফে যে এসেছেন। এখানে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কোনো চিন্তা তাকে কাবু করতে পারেনি।

তিনি মনে করেন, কোনো একটা কাজ তার মিলবে এবং এখানে কষ্ট হলেও তাদের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে।

যদিও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সংখ্যা এখন অনেক কম বলে মনে করছেন। তবে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।–বিবিসি।

রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৪

চোখের পাতা লাফায় কেন?

প্রাচীণ কাল থেকেই আমাদের দেশে একটি কুসংস্কার আমরা লালন করে আসছি। আর তা হলো চোখের পাতা লাফানো। বিশেষ করে বা চোখের পাতা লাফালেই আমরা ধরে নেই আজকে নিশ্চিত বিপদ আছে। আর সত্যি বিপদ হতে পারে এমনটা ভেবে অনেকে অস্থির ও চিন্তিতও হয়ে পরে। অথচ আধুনিক বিজ্ঞানে এই ধরণের অলীক ধারণার বিন্দুমাত্র স্থান নেই।
চোখের পাতা লাফানো একধরনের অসুখ। ডাক্তারী ভাষায় একে বলে 'মায়োকিমিয়া'  (Myokymia)। মূলত পেশীর সংকোচনের কারণেই চোখের পাতা লাফায়। দুই-একবার হঠাৎ চোখের পাতা লাফালে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু সেটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় এবং তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

চোখের পাতা লাফায় কেন?
আসুন জেনে নেই ঠিক কি কারণে প্রায়সই আমদের চোখের পাতা লাফায়।
মানসিক চাপ: কঠিন মানসিক চাপের ভেতর দিয়ে গেলে শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।

ক্লান্তি: পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোন কারণে ক্লান্তি থেকেও চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারে। ঘুমের অভাবে চোখের পাতা লাফালে পরিমিত ঘুম হলেই সেরে যাবে।

দৃষ্টি সমস্যা: দৃষ্টিগত কোন সমস্যা থাকলে চোখের উপর চাপ পড়তে পারে। টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের আলোও চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। আর এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানোর উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

চোখের শুষ্কতা: কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে, চোখে কন্ট্যাক্ট ল্যান্স ঠিকমতো না বসলে কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। আর এ কারণে চোখের পাতা লাফাতে পারে।

পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা: পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ। বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে এমনটি হতে পারে।

এলার্জি: যাদের চোখে এলার্জি আছে, তারা চোখ চুলকায় বা হাত দিয়ে ঘষে। এতে চোখ থেকে পানির সঙ্গে কিছুটা হিস্টামিনও নির্গত হয়। হিস্টামিন চোখের পাতা লাফানোর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।

ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল: কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারে।

এতোক্ষণ চোখের পাতা লাফানোর কারণগুলো পড়তে গিয়ে আপনি নিশ্চয়ই চমকে উঠেছেন এই ভেবে যে, আরে তাই
তো! ঘটনা তাহলে এরকম? তাই এখন থেকে ডান চোখ লাফালে সুসংবাদ আসে আর বাম চোখ লাফালে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে এসব চিন্তা মাথায় গেড়ে বসতে দেবেন না। মাত্রাতিরিক্ত চোখের পাতা লাফালে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান। আর যদি হঠাৎ হঠাৎ চোখ লাফায় তাহলে এমনিতেই সেরে যাবে। শুধু অপেক্ষা করুন। নয়তোবা একটা ফ্রেস ঘুম দিন। ঘুম থেকে উঠে দেখবেন এসবের চিহ্নটিও নেই।
- আকতাররের ক্যানভাস

নিজেকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ন: মালালা

নিজেকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ন। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কে তা জাহির করতে হবে। নিজের জীবন নিয়ে এমনই দর্শনে বিশ্বাসী ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী পাকিস্তানী কন্যা মালালা ইউসুফ যাই। সম্প্রতি তিনি ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন  ব্যক্তি জীবন নিয়ে নিজের দর্শনের কথা বিশ্বাসের কথা। জানিয়েছেন তার ভবিষ্যত লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়েও। তরুন পাঠকদের জন্য তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

তরুণরা নিজেদের পথ নিজেরাই ঠিক করে নিচ্ছে এবং নিজেরাই নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহন করছে, এটি কতটুকু গুরুত্ত্বপূর্ন বলে মনে করছেন আপনি?

মালালা: এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্ত্বপূর্ন। তাছাড়া আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে যাদের কোনো নিজস্ব পরিচয় নেই। তারা কারও স্ত্রী, কারও কন্যা বা কারও বোন। এমনকি তারা তাদের নিজেদের নামে পরিচিত হন না। তারা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারেন না বা সমাজের কোনো কাজে লাগতে পারেন না। তারা জন্ম গ্রহন করেন, মাকে সাহায্য করেন, ভাই বাবাকে দেখাশুনা করেন এরপর তারা বিয়ে করেন। তারা আসলে জানে না যে তারা কে?

নিজেকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ন। সিদ্ধান্ত নিতে, আপনি কে তা জাহির করতে হবে। আমি কে এবং আমার নিজের অধিকারকে চিনিয়ে দেওয়া- এ সব আমার বাবা আমাকে দিয়েছেন বা আমার বাবা নিজেকে উপলব্ধি করতে বাধা দেন নি। তিনি কখনো আমাকে স্কুলে যেতে নিষেধ করেন নি, কখনো বিয়ে করার কথা বলেন নি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

নিজের সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন?
মালালা: স্পষ্টভাষী।

আপনার জীবনের গল্প পড়ে মনে হয়েছে যে আপনি কি চান তা আপনি জানেন এবং সেটাই খুঁজে যাচ্ছেন। আপনি কি মনে করেন যে আপনার ব্যক্তিত্যের এই দিকটি আগেই ছিল বা বিশেষ কারও মাধ্যমে অনুপ্রানিত হয়েছিলেন বা আপনি নিজেই অর্জন করেছেন?

মালালা: যখন আমি ছোট ছিলাম,তখন আমি মানুষের কথা শুনতাম এবং বুঝতে চেষ্টা করতাম তারা কি বলছে ও কোথা থেকে এসেছে। আমি শুনতাম কিন্তু কিছু বলতে পারতাম না। কিন্তু আমার বাবা আমাকে উৎসাহ দিতেন এবং বলতেন যাই আমার মনে আসে তা বলে ফেলা ঠিক। এভাবে তিনি আমাদের স্বাধীনভাবে গড়ে তুলেছেন।

আমরা যদি আমাদের পরিচয় নতুন ভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি তাহলে আপনি কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে চান?

মালালা: আমি নিজেকে একজন সমাজকর্মী ভাবি। মেয়েদের অধিকারের জন্য, প্রত্যেক শিশুর জন্য শিক্ষা, নারীর অধিকার, সমতা এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করে যাব।

আপনি সারা বিশ্বে হাজার হাজার নারীর অনুপ্রেরনা। আপনার বেড়ে ওঠার সময়ে কোন নারী আপনাকে অনুপ্রেরনা দিত?
মালালা: বেনজির ভুট্টো ছিলেন একজন অনুপ্রেরনাদায়ী নেত্রী ও নারী। একজন রাজনৈতিক হিসেবে তার কিছু বৈশিষ্ট্য মানুষ পছন্দ করতো না কিন্তু তিনি সারা বিশ্বের মানুষকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, নারীও একজন নেত্রী, একজন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা আছে। তিনি আমাকে আশা দেখিয়েছেন যাতে আমিও আমার ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে পারি।

আমাদের দেশে আরোও নারী আছেন, যারা অনেক কাজ করছেন এবং তারা সমাজকর্মী। যখন আমি বেড়ে উঠছিলাম তখন তারাও আমাকে অনুপ্রেরনা জুগিয়েছেন।