ছবির মতোই সুন্দর ছিল আমার গ্রামটা...

বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন উপায় থাকতোনা। যেন মহসড়কের পাশে বিচ্ছিন্ন ছোটএকটা দ্বীপ।

সমস্যা যত বড়ই হোক, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে

আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷

ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের সব দর্শনীয় স্থানে

অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়ই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা আমাদের দেশকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। শত বছর ধরে লাখো পর্যটককে করেছে আকৃষ্ট।

মানবসেবাই সর্বোত্তম ধর্ম: ফাদার তেরেসা

অসহায়, দুস্থ মানুষের সহায়তাই তার ধ্যান-জ্ঞান।সহিংসতার বিপরীতে তিনি অসহায়ের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন।তিনি পাকিস্তানের আবদুল সাত্তার ইদি।অসম্ভব মানবসেবার কারনে ৮৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার দেশে ফাদার তেরেসা নামেই বেশি পরিচিত।

‘মানসিক প্রশান্তির জন্য সাইকেল’

যাত্রা পথে পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তা আর ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বিকল্প হলো একটা বাই সাইকেল। তাছাড়া ইদানিং স্বাস্থ্যটার দিকেও মনে হচ্ছে একটু যত্ন নেয়া দরকার।

মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭

আরে ভাই, সাংবাদিকতায় কি এসব ভাবলে চলে??

সকাল থেকেই অাকাশের মন ভালো নেই। সেই সাথে আমার শরিরটাও। চিকুনগুনিয়ার প্রভাবে সুস্থ্য হওয়ার পরেও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে সমস্যা হয়।  মনে হয়, হাত-পা ও মেরুদন্ড কেমন রোবটিক হয়ে আছে।  তার উপর আবার গতরাতে সোয়া একটায় বাসায় ফিরে ঘুমাতে ঘুমাতে ৩ টা তাই সকালে ঘুম ভাঙলো ৯ টায়।
চিকুনগুনিয়ারর প্রভাবে যেন অলসতায় পেয়ে বসলো। তার উপর ফেসবুসে ঢুকে সহকর্মী উজ্জলের জাতীয় অলস দিবসেন স্ট্যাটাস দেখে দেহটা যেন আরো আস্কারা পেয়ে বসলো।

তাছাড়া সকালে কাজও নেই তেমন গুরুত্বপুর্ন, এসাইনমেন্ট যেটা আছে তা বিকাল ৩ টায়। কিন্তু এরপরেও আমলাদের ফলোয়াপ বলে কথা...কাজ না থাকলেও সেক্রেটারিয়েটের গাছতলায় গিয়ে বসে থাকতে হবে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

ঘড়ির কাটা ১১ টা ছুই ছুই করছে...। নাহ আর বসে থাকা যায়না ৩০ মিনিটের মধ্যে সেক্রেটারিয়েটের  গাছতলায় পৌছুতে না পারলে কেলেংকারি হয়ে যেতে পারে। সব আলসেমি দুরে ঠেলে ফ্রেস হতে যাবো অমনি দেখি আকাশ মসাই প্রচন্ড গোস্বা করলেন। কথা বার্তা ছাড়াই শুরু করলেন কান্না। সে কি কান্না। তর্জন গর্জন দিয়ে কান্না। তখনই ভাবলাম এই সেরেছেরে..এত থামার কোন লক্ষন দেখছিনা।। এত কান্নায় নির্ঘাত বাসার সামনে হাটুপানি হয়ে যাবে।

এরই মধ্যে গোসল, নাস্তা সেরে দেখি মোবাইলের স্ক্রীনে ভাসছে চারটা মিসড কল। এর মধ্যে তিনটাই অফিসের নাম্বার থেকে। এতগুলো মিসড কলে বিচলিত হইনি, প্রত্যাশিতই ছিল।
এই মুহুর্তে উচিৎ কাজ হলো কল ব্যাক করা। কিন্তু এমন বৃষ্টিস্নাত সকাল সকাল কে বকা শুনতে চায়?নিশ্চয় ফোনে ভাইয়া যখন শুনবেন আমি এখনও বাসায়, তখন টেলিফোনের ওপারে চোখ কপালে তুলে তিনি রাজ্যের বিস্ময় প্রকাশ করবেন।

তারচে ভালো এমন বৃষ্টির কিছু দৃশ্য মোবাইলে ধারন করে বৃষ্টি বিলাশী কিছু বন্ধুর মনোরঞ্জন করি। করলামও..। কিন্তু তাতে আমারতো মনোরঞ্জন হচ্ছেনা। এসাইনমেন্টে যাওয়ার অস্থিরতাও  কমছেনা।  আর ওদিকে আকাশের কান্না থামারও কোন লক্ষন আপাতত দেখা যাচ্ছেনা।

তাই কূল না পেয়ে পাশের রুমের আরেক সংবাদ কামলা ভাইকে বললাম কী করা যায়? উনিও একই অস্থিরতায় ভুগছে। কারন প্রেসক্লাবে উনার চলছে গুরুত্বপুর্ন সেমিনার। মিস করলে লস। তাকে বললাম চলেন..উনি বলে এ্যাতো বৃষ্টিতে ক্যামনে যাই।
বল্লাম অারে ভাই, সাংবাদিকতায় এসব চলে? ঝড়, বৃষ্টি বা রোদ, কিংবা রাস্তায় হাটু পানি এসবকি আর বুঝবে রানডাউন! আপনি সুস্থ্য না অসুস্থ্য তা দিয়েত আর মিডিয়া চলবেনা। যথাসময়ে স্পটে উপস্থিত...। "আকতার আপনিকি শুনতে পাচ্ছেন?...হ্যা শুনতে পাচ্ছি। "  লাইভে অনএয়ার থেকে শুনতে পাওয়াটাই শেষ কথা।

যাইহোক বৃষ্টি দিনে ড্রেস কী হবে? কি পড়ে যাবো। বসের কড়া নির্দেশ লুথার মতো যাওয়া চলবেনা। আমারও একই মত, রাষ্ট্রের সবচে গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তিদের অনুষ্ঠানে কি আর সেন্ডেল পড়ে যাওয়া কি শোভা পায়? কিন্তু রাস্তায় যে হাটু সমান পানি।

আরে ভাই সাংবাদিকতায় কি এতো কিছু ভাবলে চলে। আসেন বের হই। বাধ্যছেলের মতো ভাগিনার ছোট ছাতাটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ছোটদের ছোট এই ছাতায় দুই জনের মাথা সুরক্ষা হলেও প্যান্টসহ পুরো শরির ভিজেই গেলো। বাধ্যহয়ে ভাবলাম পায়েহাটার পথটুকু রিক্সায় যাই। রিক্সাঅলাও প্রত্যাশার বাইরে কোন আচরন করলো না। বিশ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা। খুবই ন্যায্য আবদার।
এরই মধ্যে রাজ্য জয়ের মতো অানন্দ নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের পরই মনে হলো আজকেত গাছতলায় বসা যাবেনা। বুদ্ধি করে ঢুকলাম ক্যানটিনে। কিন্তু কতক্ষন..?? বৃষ্টি যে থামার নাম নেই।  ক্যান্টিন বয় গুলোর ধৈর্য্যের বাধ যেন ভেঙ্গে গেলো। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই কাছে এসে বললো মামা কাস্টোমার বসতে পারছেনা..মানে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু আমাদেরও উপায় নেই। থাকতে হবে সাড়ে তিনটা অবধি। কেননা তখন কিছু একটা  নিউজ হয়তো পাওয়া যাবে।
ক্যান্টিন বয়ের আচরনে মনে হলো, গ্রামে কিছু চালাক দোকানদারদের কথা যারা টিভি দেখায় খদ্দের আটকে রাখে আবার কিছু না কিনলে উঠায় দেয়।

যাইহোক এখানে যেহেতু কিছু কিনতে পারলাম না তাই চেয়ারটা ছেড়েই দিতে হলো। ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে ফের দ্বিতীয়বার বৃষ্টি ধর্ষন হলাম।।

(( বি.দ্র. যারা এই লেখাকে নিছক ফাও প্যাচাল মনে করছেন তাদেরকে বলছি।। এছাড়া আর কী লিখবো বলেন? ৫৭ ধারার যাতা কলে যেভাবে সাংবাদিক নির্যাতন শুরু হইছে। তাই কী লিখে আবার কার আত্নসম্মানে অাঘাত দেই, পিছে মামলার ঝুঁকি। তারচে বরং নিজেকে নিয়ে খাজুরে গল্প লেখি তাতেও যদি হাতের চুলকানি কিছুটা কমে। ধন্যবাদ।।))