ছবির মতোই সুন্দর ছিল আমার গ্রামটা...

বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন উপায় থাকতোনা। যেন মহসড়কের পাশে বিচ্ছিন্ন ছোটএকটা দ্বীপ।

সমস্যা যত বড়ই হোক, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে

আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷

ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের সব দর্শনীয় স্থানে

অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়ই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা আমাদের দেশকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। শত বছর ধরে লাখো পর্যটককে করেছে আকৃষ্ট।

মানবসেবাই সর্বোত্তম ধর্ম: ফাদার তেরেসা

অসহায়, দুস্থ মানুষের সহায়তাই তার ধ্যান-জ্ঞান।সহিংসতার বিপরীতে তিনি অসহায়ের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন।তিনি পাকিস্তানের আবদুল সাত্তার ইদি।অসম্ভব মানবসেবার কারনে ৮৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার দেশে ফাদার তেরেসা নামেই বেশি পরিচিত।

‘মানসিক প্রশান্তির জন্য সাইকেল’

যাত্রা পথে পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তা আর ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বিকল্প হলো একটা বাই সাইকেল। তাছাড়া ইদানিং স্বাস্থ্যটার দিকেও মনে হচ্ছে একটু যত্ন নেয়া দরকার।

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সাকরাইন উৎসব: গোধুলির আকাশে রঙিন ঘুড়ি আর রাতের আকাশে আতশবাজি

ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ):  সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। এটি পালিত হয় পৌষ মাসের শেষ দিনে। সেদিন পুরান ঢাকার আকাশে শোভা পায় নানান রঙ বেরঙ এর ঘুড়ি আর রাতের অন্ধকার মাৎকরে সোভাপায় আতশবাজীর আলোর ঝলকানি।

সাধারণত প্রতিবছর ১৪ বা ১৫ই জানুয়ারি পৌষের শেষ দিনে অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তিকে ঘিরে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে ঢাকাবাসি।  বয়স ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পুরান ঢাকার ছেলে-বুড়ো সবাই শামিল হয় এই উৎসবে। দূর হয়ে যায় প্রজন্মের ব্যবধান; নাটাই হাতে পিতাপুত্র নেমে পড়ে ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতায়। মেতেওঠে ঘুড়িতে ঘুড়িতে প্যাঁচকষা আর কাটাকাটির খেলায়। সুতোয় মাঞ্জামেরে দিনভর চলে এই খেলা।

এরপর একসময় সূর্যিমামা বিদায় নিলে যখন বাংলার আকাশে নেমে আসে ঘণকালো অন্ধকার তখন শুরু হয় আতশবাজীর আলোর ঝলকানি আর বাড়ির ছাদে ছাদে চলে আনন্দ উৎসব।  তরুনরা আতশবাজী পোড়ায় ও মুখে কেরোসিন তেল নিয়ে আগুন দিয়ে চমৎকার এক ধোঁয়ার কু-লী তৈরী করে আকাশে ছেড়ে দেয়।


ইতিহাসের পাতায় সাকরাইন উৎসব:

পৌষ মাসের শেষ দিন সাকরাইনে নতুন ধানের চালের পিঠাপুলি খেয়ে, ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ উৎসব করার রেওয়াজ বহু পুরনো। ঢাকায় এই উৎসব হচ্ছে প্রায় ৪০০ বছর ধরে। বাংলাদেশের পুরানো ঢাকায় ঘুড়ি ওড়ানো বিনোদন শুরু হয়েছিল মুঘল আমলে।  কথিত আছে, ১৭৪০ সালে নবাব নাজিম মহম্মদ খাঁ এই ঘুড়ি উৎসবের সূচনা করেন। সেই থেকে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। এই ঘুড়ি উৎসব পশ্চিম ভারতের গুজরাটেও পালিত হয়। সেখানে মানুষ সুন্দর সুন্দর ঘুড়ির মাধ্যমে সূর্যদেবতার কাছে নিজেদের ইচ্ছা ও আকুতি প্রেরণ করেন। উত্তর ভারতীয় এ ঘুড়ি উৎসবটিকে স্থানীয়রা 'সাকরাইন' নামে অভিহিত করে।

অতীতে সাকরাইনে পুরান ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইদের নাটাই, বাহারি ঘুড়ি উপহার দেওয়া এবং পিঠার ডালা পাঠানো ছিলো অবশ্য পালনীয় অনুসঙ্গ। ডালা হিসেবে আসা ঘুড়ি, পিঠা আর অন্যান্য খাবার বিলি করা হতো আতœীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের মাঝে। একটা নীরব প্রতিযোগিতা চলতো কার শ্বশুরবাড়ি হতে কত বড় ডালা এসেছে। আজ এই সব চমৎকার আচারগুলো বিলুপ্ত হতে চলেছে। পুরান ঢাকার আদি বসবাসকারী সকল মানুষ আজও এই ঐতিহ্যগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেন।

বাহারী যত  ঘুড়ি : 
সাকরাইন উৎসবের দিন সারাদিন আকাশে উড়ানো হয় নানান রঙের , নানান আকারের বিচিত্রদর্শন সব ঘুড়ি। দেখতে যেমন তাদের নামও তেমন বাহারি- গাহেল, চোখদার, চানদার, নাকপান্দার, ভোয়াদার, কাউঠাদার, চিলা, চাপরাস, মাখখি আরও কত কি!

এদিন আকাশে উড়ে চোখদ্বার, মালাদ্বার, পঙ্খীরাজ, চশমাদ্বার, কাউঠাদ্বার, চাপালিশ, চানদ্বার, এক রঙা ইত্যাদি ঘুড়ি। এমনকি জাতীয় পতাকার রঙেও তৈরি করা হয় ঘুড়ি । তবে ঘুড়ির চেয়েও সুন্দর হয় এর লেজ। লেজ অনেক আকৃতির ও রঙ বেরঙ এর হয়ে থাকে। ঘুড়ির সঙ্গে সঙ্গে নাটাইগুলোর নামও বেশ মজাদার। বাটিওয়ালা, মুখবান্ধা, মুখছাড়া ইত্যাদি।

সাকরাইনের উপায় উপকরণের খোজ খবর:
সাকরাইন উৎসবের অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ হলো ঘুড়ি। আর শাঁখারিবাজার হচ্ছে ঘুড়ি-নাটাই-সুতার সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার। ঘুড়ির দাম শুরু হয় ২ টাকা থেকে । আছে ২৫০-৩০০ টাকার ঘুড়িও। নাটাইয়ের দাম নির্ভর করে তার আকার আকৃতি ও ফিনিশিং এর উপর। পাওয়া যাবে ৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার ভিতর। নিনজা, ড্রাগন , হ্যামার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাটাকাটি খেলার উপযোগী ধারালো মাঞ্জা সুতা পাওয়া যাবে ৬০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।


বর্তমানে যেমন আছে সাকরাইন:
সময়ের সাথে সাথে সাকরাইন উৎসবেও এসেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। এক সময়ের চকলেট, শলতা আর পাটকার আধিপত্য ছাপিয়ে এখন আতশবাজির জয়জয়কার! মাইকের জায়গা দখল করে নিয়েছে ডিজে। সাকরাইন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসব হলেও এই উৎসবটি আর আগের মত জানান দিতে পারছেনা নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে তরুনদের মনে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ছোবলে বাংলার প্রাচীন অনেক উৎসবের মতোই সাকরাইও হারাতে বসেছে তার মাধুর্য্য। গুটিয়ে আসছে তার পরিধি।

তবে উৎসবের অনুষঙ্গে পরিবর্তন এলেও আমেজ আর আবেগটা এখনও রয়ে গেছে আগের মত। যান্ত্রিক এই নগরজীবনে তার আবেগ, তার আমেজ নিয়ে বেঁচে থাকুক সাকরাইন।


লেখক: আকতার হাবিব
জাস্ট নিউজবিডি ডটকম
সূত্র: উইকিপিডিয়া, ব্লগ

হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণার মাধ্যামে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ): শাহ মাজহারুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ৫৯ জন হজযাত্রীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আতœসাতের অভিযোগ করেছেন প্রতারণার শিকার হজযাত্রীরা।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।

হজযাত্রীরা জনান, শাহ মাজহারুল ইসলাম ২০১২ সালের ১৪-৬-২০১২ তারিখ থেকে বিভিন্ন সময়ে রুপসী বাংলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস্  ও স্বপ্নপূরী ইন্টারন্যাশনাল নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হজে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী জনপ্রতি তিন লাখ চার হাজার ৬৪০ টাকা করে নেয়। প্রতিষ্ঠানটির হজ লাইসেন্স নাম্বার ৫০১।

প্রতারণার শিকার আবু সালেহ ফরাজী জানান, “ আমরা ২৭ জন হজযাত্রী প্রত্যেকে তিন লাখ চার হাজার ৬৪০ টাকা করে প্রায় ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আমাদের গ্রুপের মাত্র ৯জনকে হজে পাঠায় আর আমরা বাকী ১৮জন হজে যেতে পারিনি। হজে যেতে না পেরে আমরা ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করি। পরে শাহ মাজহারুল  ইসলাম ও তার ব্যাবসায়িক অংশিদার আব্দুল কাইয়্যুম টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা না করার জন্য অনুরোধ করে।
কিন্তু ঘটনার প্রায় দেড় বছর হতে চললেও সে পরে কোন টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা করে এবং তাদের সাথে যোগাযোগের সকল নাম্বার বন্ধ ও অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং নানা ভাবে জীবন নাশেরও হুমকী দিচ্ছে।

এমতাবস্থায় আমরা হজে যেতে না পেরে এবং আমাদের বহুদিনে জমানো টাকা হারিয়ে আমরা এখন নি:স্ব হয়ে গিয়েছি। তার অব্যাহত হুমকীতে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সঙ্কায় আছি। আমরা আইনি সহায়তারর জন্য বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

হজযাত্রীরা আরও জানান, প্রতারকদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মামল নাম্বার হলো- ৪৭ (৭) ১৩, ২৬২/১৩, ৬৬০/১৩ এসব মামলায় তারা ফেরারী আসামী।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রতারণার শিকার মো. মাহাফিজুর রহমান, মহসীন, আবু বকর ও রাব্বানী প্রমুখ।

দুই কর্মকর্তার আর ইজারাদারের হাতে জিম্মি রাজধানীর পশু ব্যবসায়ীরা

ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ):  ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তরের অসাধু দুই কর্মকর্তা আর ইজারাদারদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে রাজধানীর পশু ব্যাবসায়ীরা। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো সরকারি রেট থেকে বর্ধিত হারে টেক্স ও হাসিল আদায় করছে। এমনকি এই বর্ধিত টাকা পরিশোধ না করলে হয়রারি ও নির্যাতনেরও অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীরা।
এর প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে মাংশ ব্যাবসায়ীরা।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি যৌথভাবে এই কর্মসূচি আয়োজন করে।
মাংশ ব্যাবসায়ীরা জানান, আগে জবাই করা পশু প্রতি সরকারি টেক্স ছিল ১০ টাকা এরপর তা বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয় এখন এই ফি বৃদ্ধি করে ৮০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত আদায়করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঈদ মৌসুমে হাটে গুরু প্রতি সরকারি টেক্স ২১ টাকা থেকে তারা বাড়িয়ে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে হাট মালিক ও ইজারাদাররা। আর এসবই করা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন উত্তরের দুইজন অসাধু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায়।
ব্যাবসায়ীরা আরো জানান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) সৃষ্টি হবার পর একটিও জবাইখানা নির্মাণ করা হয়নি বরং চলতি তিনটি জবাইখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের বাড়ি, দোকানের সামনেই পশু জবাই করতে হয়। এমনকি জবাইকৃত পশুর রক্ত ও বর্জ্য তাদের নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হয়।
তারা আরো জানান, অবিলম্বে মাংসের উপর বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করা না হলে মাংসেরে দাম বৃদ্ধি করে বর্ধিত ফি পরিশোধ করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবেনা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ মো. আঃ বারেকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদশে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু,  মহাসচিব রবিউল আলম, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহামেদসহ কয়েক’শ মাংশ ব্যাবসায়ী।

আ’লীগ দেশকে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে: মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ): বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশকে জঙ্গি ও মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। দেশকে নিয়ে মহাষড়যন্ত্র হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর ছাত্রদল আয়োজিত ‘ছাত্রদলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, তাদের মুক্তিসহ গুম, হত্যা বন্ধের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩৫ শতাংশ মৌলবাদী রয়েছে’। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারা সংসদে ও সংসদের বাইরে বিএনপির বিরুদ্ধে মৌলবাদের অভিযোগ তুলছেন। প্রধামন্ত্রীর ছেলের ভাষায় আরো স্পষ্ট হয় যে, তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে।

সম্প্রতি আল-কায়েদার প্রকাশিত ভিডিও বার্তা নিয়ে ক্ষতাসীনদের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আল-কায়দার সঙ্গে বিএনপির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। অথচ এখন পর্যন্ত ভিডিও বার্তাটি আল-কায়েদার কি না তাই তারা প্রমাণ করতে পারেনাই ।

ফখরুল বলেন, সরকার গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিরোধী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় যৌথবাহিনী বাধা দিচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। সরকার তাদের আজ্ঞাবহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে দেশকে সন্ত্রাসী ও ত্রাসের রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সংসদে কিছু সংখ্যক ‘সং’ বসে আছেন। আর তারা বসে বসে জাতির সঙ্গে তামাশা করছেন। তথাকথিত বিরোধী দল মন্ত্রীত্ব নিয়ে জগাখিচুরি সংসদ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বলেছিল, এটা সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। পরে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে। কিন্তু এখন তারা বলছে বিএনপি ভুল করেছে। আমরা নির্বাচনে জয় লাভ করেছি। আওয়ামী লীগ ছল-চাতুরি করে মূলত রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবুল মনছুর খান দিপকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসিম প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/ এ এইচ/ ১৪৫৮)

মার্কিন তহবিলে র‌্যাবকে প্রশিক্ষণদানে মানা

ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ): শর্ত পূরণ না করায় র‌্যাব-এর প্রশিক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে মার্কিন তহবিলে পরিচালিত প্রশিক্ষণে র‌্যাবের সদস্যদের যেন বাংলাদেশ সরকার কোনও মনোনয়ন না দেয়। বিচারবর্হিভূত হত্যাকা-সহ অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণেই এ শর্ত দেয়া হয়েছে।

৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সরকারের এক চিঠিতে এ খবর দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, র‌্যাব কর্তৃক মানবাধিকারের লঙ্ঘন বন্ধ হয়েছে এবং লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার যথেষ্ট সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এমনটি নিশ্চিত হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে কেবল একটি ক্ষেত্রেই মার্কিন সহায়তা পেয়ে থাকে র‌্যাব। সে ক্ষেত্রটি হচ্ছে ইন্টারন্যাল এনকোয়ারি সেল (আইইসি) প্রতিষ্ঠায়। এই সহায়তা লিয়াহি ‘ল’ মেনেই দেয়া হয়। আইইসিতে কাজের জন্য মনোনীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার আগে বাছাই-বিধির শর্ত অব্যশই সাফল্যের সঙ্গে পূরণ করতে হয় র‌্যাব সদস্যদের।

আইইসিতে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের জন্যই এ বিশেষভাবে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এখানে আইইসি সদস্যদের অংশগ্রহণ সীমিত। বিদেশী নিরাপত্তা বাহিনীকে মার্কিন সহায়তা ‘ফরেন এসিস্ট্যান্ট অ্যাক্ট (এফএএ) অব ১৯৬১-এর সেকশন ৬২০ এম’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ওই নিয়ন্ত্রণ বিধিটিই ‘লিয়াহি ল’ বা লিয়াহি অ্যামেন্ডমেন্ট নামে পরিচিত।

মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে মার্কিন পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যদি বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে তবেই বিদেশী নিরাপত্তা বাহিনীর কোন ইউনিটের এফএএ’র অধীনে তহবিল সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে উল্লিখিত অ্যামেন্ডমেন্ট।

কিন্তু র‌্যাব সদস্যদের দ্বারা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন ঘটায় কোন প্রকার মার্কিন প্রশিক্ষণ ও সহায়তা র‌্যাবের কোন সদস্য বা ইউনিট পেতে পারে না বলে মার্কিন সরকার দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। এই অবস্থায় সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ফর স্ট্যাবিলিটি পুলিশ ইউনিট  (সিওইএসপিইউ)-এর ফিফথ মোবাইল মেনটোরিং টিম (এমএমটি-০৫) কোর্সের বাছাই-বিধির শর্ত র‌্যাব ঢাকার অপারেশনস উইং-এর স্কোয়াড লিডার সিনিয়র এএসপি মাহমুদুল হাসান পূরণ করতে পারেননি।

তাই তিনি ওই প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু’টি টিম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। এই টিমের নেতৃত্বে দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

নির্দলীয় নির্বাচনে দলীয় প্রভাব গ্রহণযোগ্য নয়: সুজন

ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি  (জাস্ট নিউজ):   উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয় হলেও এতে রাজনৈতিক দলগুলো প্রভাব বিস্তার করছে যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সুজন’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেন।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় হওয়ার কথা। কিন্তু দু:খজনক হলো, উপজেলা গুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একক প্রার্থী নির্ধারণের জন্য তাদের মনোনীত প্রার্থী ছাড়া অন্যদের প্রার্থিতা প্রত্যাহরের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষ দল থেকে বহিস্কারও করা হচ্ছে। যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার শামিল, এটা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। রাজনৈতিক দলসমূহের এই আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নীরব। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছেন সুজন নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজমুদার এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী জনাব দিলীপ কুমার সরকার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বিপাশা প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিলভূক্ত ১১৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এতে দেখা যায়, উক্ত নির্বাচনে ১১৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৪০ জন অর্থাৎ তিনটি পদে সর্বমোট ১ হাজার ৩৭৭ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এসময় নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্যের বিভিন্ন অসঙ্গতিও তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, চুড়ান্ত প্রতিদ্বন্দিতাকারী ৫২১ জন প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা  ২৪৮ জন অর্থাৎ ৪৭.৬% স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। ৫৫.৪৭% বা ২৮৯ জনের পেশা ব্যবসা। কৃষির সঙ্গে জড়িত ২০.৩৫% ১০৬ জন। ১২৪ জন বা ২৩.৮০%-এর বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে। বাৎসরিক ২ লাখ বা তারচেয়েও কম আয় করেন ১৫৫ জন বা ২৯.৭৫% প্রার্থী। আর বাৎসরিক ১ কোটি টাকার বেশি আয় করেন ৬ জন (১.১৫%) প্রার্থী।

সাভারে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের নির্দেশ

ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ):  আগামী সাত দিনের মধ্যে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) নির্মাণ কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সেই সাথে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের গড়িমসি হলে দায়ীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি করেন তিনি।

সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত রাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো সাভারে স্থানান্তরসহ ঢাকা চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের সার্বিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সভায় হাজারীবাগ থেকে দ্রুত ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় জানানো হয় ইতোমধ্যে ৮২ জন ট্যানারি মালিক তাদের প্লটের বিপরীতে লে-আউট প্ল্যান জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫টি লে-আউট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় অনুমোদিত এ সব প্লটের নকশা অনুযায়ী দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে উদ্যোক্তারা মন্ত্রীকে জানান।

সভায় ট্যানারি মালিকদেরকে কমিটি করে অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী স্থানান্তর শুরু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হলে সরকার পর্যায়ক্রমে ক্ষতিপূরণের ২৫০ কোটি টাকা ছাড় করবে বলে উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করা হয়। একইসঙ্গে তিনি ট্যানারি স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোক্তাদের প্রতিও আহ্বান জানান।

সভায় পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, পরিবেশ ও বন সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, বিসিক চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বুয়েট, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুট ওয়্যারস এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেএলইপিসিএল-ডিসিএল-জেভি এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ চালাচ্ছে: শাহ মোয়াজ্জেম

ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ): বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, সরকার ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ চালাচ্ছে। গত তিন বছরে এই সরকারকে ভারত যে পরিকল্পনা করে দিয়েছে সেভাবেই দেশ চলছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে ক্ষমতায় বসে আছে। এই সরকার কোনো গণতান্ত্রিক সরকার না, ভারত নির্বাচিত সরকার। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, ভারতের তাবেদারি করার জন্য নয়।

দেশে প্রতিদিন বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কোনো বিচার হয়নি। বিচার হবে না এটাই স্বাভাবিক। কেননা নেত্রী শেখ হাসিনার বাবা মারা যাওয়ার পর কেউ ইন্নালিল্লাহ পড়ে নাই। তাই তিনি প্রতিদিন তার বাবার ছবি দেখেন আর কেন কেউ ইন্নল্লিাহ পড়লোনা সেই ক্ষোভে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে হত্যা করলেও উনার জ্বালা মিটবে না

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভাষা সৈনিক ড. আব্দুল মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবদিন ফারুক ও তৃনমূল দলের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন ভুইয়া নান্টু প্রমুখ।

দেশে আওয়ামী জাহেলিয়াত চলছে: শাহ মোয়াজ্জেম

ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ):  দেশে এখন যে পরিমান হত্যা,গুম নির্যাতন চলছে তা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও ছাড়িয়ে গেছে। দেশে এখন আওয়ামী জাহেলিয়াত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম।

তিনি রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া পরিষদ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- ও জনমনে আতঙ্ক শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশে প্রতিদিনই মানুষ গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে, দেশে বিচার বর্হিভর্’ত হত্যাকা- বেড়েছে  আশংকা জনক হারে। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই ৩০০ ব্যাক্তি গুমের শিকার হয়েছে। আর দেশের জনগনের উপর এভাবে জুলুম নির্যাতন করে দেশ চালাবেন। এটা সম্ভব নয়।

বর্তমান বর্বরতার জন্য শেখ হাসিনা নোবেল প্রাইজ পেতে পারেন উল্লেখ করে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর হাসিনা যে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে পৃথিবির ইতিহাসে এর নজির নেই। তার নির্যাতন অতীতের হিটলার, লেলিন, মুসোলীনিকেও হার মানিয়েছে। এজন্য তিনি নোবেল পুরস্কারও পাওয়ার যোগ্য।

বর্তমান আন্দোলন সংগ্রাম সম্পর্কে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন আর বর্তমানে তার পতœী সেই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছেন। তিনি আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আমার মতো তারও বয়স হয়েছে তবুও তিনি রাস্তায় নেমে এসেছেন প্রয়োজনে আবারও নামবেন। দরকার হলে আমিও নামব তবুও নেতা কর্মীদের বলব আপনারা আসুন রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন। কারণ আপনাদের ভবিষ্যত আপনাদেরই নির্মান করতে হবে।

জিয়া পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্নমহাসবি এ্যাড.মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল কবির খোকন, জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবির মুরাদ প্রমুখ।

ছুটির দিনে বইপ্রেমীদের উপচেপড়া ভীড়

ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ): ছুটির দিনে পুরো পুরি জমে উঠেছে বই প্রেমীদের প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থ মেলা। মেলা শুরু হওয়ার পর আজই প্রথম সরকারি ছুটির দিন। আর ছুটির দিনে ব্যস্ততা কম থাকায় বইয়ের টানে মেলায় ছুটে আসছে বই প্রেমীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেলাকে কেন্দ্রকরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকার রাজু ভাস্কর্য থেকে বাংলা একাডেমী পর্যন্ত অপরদিকে দোয়েল চত্তর পর্যন্ত পাঠকদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। আর মেলা প্রাঙ্গনও ছিল কানায় কানায় পূর্ন। যেন তিল ধারণের ঠাইনেই। সন্ধ্যা গড়াতেই পাঠকের ভীড় যেন বাড়ছেই। বেচা কেনাও চলছে সমান গতিতে।

মেলায় আগত দর্শক সমাগম দেখে আশাবাদী হয়ে উঠছে প্রকাশকরা। চারুলিপি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী হুমায়ূন কবীর জানান, ‘মেলার প্রথম শুক্রবার আমাদের জন্য এক ধরনের পর্যবেক্ষণের দিন। দিন শেষে বলতে পারব এবারের মেলা সফলতার মুখ দেখবে কি না?’ আশা করছি বেচা কেনাও ভালই হবে।

সেবা প্রকাশনীর সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আবদুস সালাম জানান, অন্য দিনগুলোতে মানুষ বেশি ব্যস্ত থাকায় তারা শুক্রবার বা ছুটির দিনগুলোতেই মেলায় ভিড় করেন। তাই ছুটির দিনে স্বাভাবিক ভাবেই বেচা বিক্রি বেশি হয়।

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী আফসানা জানান, পুরো সপ্তাহ জুড়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই শুক্রবার নিজেদের ফ্রেশ করতেই বইমেলাতে আসি। ঘুরে ফিরে পছন্দমতো বইও কিনি।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা দিয়ে মেলার দিন শুরু হলেও সর্বসাধারণের জন্য মেলার প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়া হয় ১১টায়। শুরুতে দর্শক সমাগম কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। দুপুর গড়াতেই বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বইপ্রেমী মানুষ আসতে থাকে।

সোহরাওয়ার্দীতে হচ্ছে এবারের অমর একুশে বইমেলা

ঢাকা, ২০ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ): বাংলা একাডেমির পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। সোমবার বিকালে বাংলা একাডেমির সভাকক্ষে আয়োজিত আন্তমন্ত্রনালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থান সংকুলান না হওয়ায় একাডেমির সামনের রাস্তায় মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আয়োজক সংস্থা। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা আয়োজনের দাবি জানায় প্রকাশকরা। এরই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানাযায়, বিক্রয়কেন্দ্র ভবন নির্মাণের কারণে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার স্থান সংকট দেখা দেয়। ফলে সামনের রাস্তায় প্রকাশকদের স্টল বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রকাশকদের সংগঠন সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতি নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা আয়োজনের জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানায়।

তবে মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হলেও মেলার সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার স্টল একাডেমি প্রাঙ্গণেই থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।