বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মার্কিন তহবিলে র‌্যাবকে প্রশিক্ষণদানে মানা

ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ): শর্ত পূরণ না করায় র‌্যাব-এর প্রশিক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে মার্কিন তহবিলে পরিচালিত প্রশিক্ষণে র‌্যাবের সদস্যদের যেন বাংলাদেশ সরকার কোনও মনোনয়ন না দেয়। বিচারবর্হিভূত হত্যাকা-সহ অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণেই এ শর্ত দেয়া হয়েছে।

৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সরকারের এক চিঠিতে এ খবর দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, র‌্যাব কর্তৃক মানবাধিকারের লঙ্ঘন বন্ধ হয়েছে এবং লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার যথেষ্ট সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এমনটি নিশ্চিত হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে কেবল একটি ক্ষেত্রেই মার্কিন সহায়তা পেয়ে থাকে র‌্যাব। সে ক্ষেত্রটি হচ্ছে ইন্টারন্যাল এনকোয়ারি সেল (আইইসি) প্রতিষ্ঠায়। এই সহায়তা লিয়াহি ‘ল’ মেনেই দেয়া হয়। আইইসিতে কাজের জন্য মনোনীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার আগে বাছাই-বিধির শর্ত অব্যশই সাফল্যের সঙ্গে পূরণ করতে হয় র‌্যাব সদস্যদের।

আইইসিতে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের জন্যই এ বিশেষভাবে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এখানে আইইসি সদস্যদের অংশগ্রহণ সীমিত। বিদেশী নিরাপত্তা বাহিনীকে মার্কিন সহায়তা ‘ফরেন এসিস্ট্যান্ট অ্যাক্ট (এফএএ) অব ১৯৬১-এর সেকশন ৬২০ এম’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ওই নিয়ন্ত্রণ বিধিটিই ‘লিয়াহি ল’ বা লিয়াহি অ্যামেন্ডমেন্ট নামে পরিচিত।

মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে মার্কিন পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যদি বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে তবেই বিদেশী নিরাপত্তা বাহিনীর কোন ইউনিটের এফএএ’র অধীনে তহবিল সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে উল্লিখিত অ্যামেন্ডমেন্ট।

কিন্তু র‌্যাব সদস্যদের দ্বারা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন ঘটায় কোন প্রকার মার্কিন প্রশিক্ষণ ও সহায়তা র‌্যাবের কোন সদস্য বা ইউনিট পেতে পারে না বলে মার্কিন সরকার দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। এই অবস্থায় সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ফর স্ট্যাবিলিটি পুলিশ ইউনিট  (সিওইএসপিইউ)-এর ফিফথ মোবাইল মেনটোরিং টিম (এমএমটি-০৫) কোর্সের বাছাই-বিধির শর্ত র‌্যাব ঢাকার অপারেশনস উইং-এর স্কোয়াড লিডার সিনিয়র এএসপি মাহমুদুল হাসান পূরণ করতে পারেননি।

তাই তিনি ওই প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু’টি টিম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। এই টিমের নেতৃত্বে দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন