ছবির মতোই সুন্দর ছিল আমার গ্রামটা...
বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন উপায় থাকতোনা। যেন মহসড়কের পাশে বিচ্ছিন্ন ছোটএকটা দ্বীপ।
সমস্যা যত বড়ই হোক, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে
আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷
ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের সব দর্শনীয় স্থানে
অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়ই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা আমাদের দেশকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। শত বছর ধরে লাখো পর্যটককে করেছে আকৃষ্ট।
মানবসেবাই সর্বোত্তম ধর্ম: ফাদার তেরেসা
অসহায়, দুস্থ মানুষের সহায়তাই তার ধ্যান-জ্ঞান।সহিংসতার বিপরীতে তিনি অসহায়ের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন।তিনি পাকিস্তানের আবদুল সাত্তার ইদি।অসম্ভব মানবসেবার কারনে ৮৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার দেশে ফাদার তেরেসা নামেই বেশি পরিচিত।
‘মানসিক প্রশান্তির জন্য সাইকেল’
যাত্রা পথে পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তা আর ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বিকল্প হলো একটা বাই সাইকেল। তাছাড়া ইদানিং স্বাস্থ্যটার দিকেও মনে হচ্ছে একটু যত্ন নেয়া দরকার।
বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
সৌরবিদ্যুত বদলে দিচ্ছে কুষ্টিয়ার কৃষকদের ভাগ্য
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫
ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীনতম কুরআনের পান্ডুলিপি ও ইংরেজ কর্তৃক মুসলিম স্থাপত্য লুটের ইতিহাস
বৃটিশ গবেষকরা কুরআনের এই প্রাচীনতম পান্ডুলিপির হদিশ পেয়ে দারুণ উচ্ছসিত। তারা বলছেন, যেই ব্যক্তি এটি লিখেছেন তার সাথে নবীজীর (সা.) সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছিল। সহজ কথায় একজন সাহাবী (রা.) পান্ডুলিপিটি লিখেছেন।
(অনলাইন বাংলার সৌজন্যে)
শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৫
কেমন আছে কিউবার সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়
ছোট্ট এক উপকুলীয় শহর আলামারার এক পরিত্যক্ত খেলার মাঠে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য জড়ো হন কয়েকজন কিউবান মুসলিম। এই শহরে হাতে গোনা অল্প কজন মুসলিমের বাস।
খেলার মাঠে যখন তারা নামাজ পড়েন, তখন পাশ দিয়ে বিকিনি হেঁটে যায় মহিলারা, বিয়ারের ক্যান হাতে পার্কে বসে থাকা পুরুষরা তাকিয়ে দেখে নামাজ পড়ার দৃশ্য। কিউবার মতো একটা দেশে ইসলামিক রীতি এবং ঐতিহ্য মেনে চলার চ্যালেঞ্জ খুব স্পষ্ট।
হোর্হে এলিয়াস সম্প্রতি ইসলামে দীক্ষা নিয়েছেন। তার মুসলিম নাম ইসা। গত বছর অন্য কজন মুসলিমের সঙ্গে মক্কায় গিয়ে হজ্জ্বও করে এসেছেন।
তিনি বলছিলেন, কিউবায় একজন মুসলমান হিসেবে ধর্ম মেনে চলা একদিকে খুব সহজ, আবার অন্যদিকে খুবই জটিল।
“আমরা এখনো খুবই ছোট্ট এক সম্প্রদায়। অনেক সময় মুসলিম হিসেবে জীবনযাপন আমাদের জন্য অতটা সহজ নয়। যেমন ধরুণ আমরা হালাল খাবার চাই, সেটা পাওয়া সহজ নয়। আর কিউবায় লোকজন প্রচুর শুকরের মাংস খায়। মদ পান করে। আপনি জানেন, ইসলামে এসব নিষিদ্ধ। তবে এটা কোন বড় সমস্যা নয়। এখানকার মানুষ খুব ভালো। সবার সঙ্গে আমাদের খুব চমৎকার সম্পর্ক। তবে এটা সত্য, মুসলিম হিসেবে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সমস্যা আছে।”
কিউবার একটি সীবিচ |
কিউবার রাজধানী হাভানায় মুসলমানদের নামাজ পড়ার জায়গা এখন পর্যন্ত একটাই। সেটা হলো ইমাম ইয়াইয়া পেড্রো টোরেজের বাড়িতে। তিনি কিউবার ইসলামিক লীগের প্রেসিডেন্ট। ইমাম পেড্রো টোরেজ স্বীকার করলেন, কিউবার মত দেশ, যেখানে মদ্য পান আর খোলামেলা যৌনতা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার, শুকর যেখানে জাতীয় খাদ্য, সেখানে কড়াকড়িভাবে ইসলাম মেনে চলা খুবই কঠিন।
সম্প্রতি কিউবা সফরে এসেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। কলম্বাসের অনেক আগে মুসলমানরাই প্রথম দ্বাদশ শতকে কিউবায় নেমে আমেরিকা আবিস্কার করে বলে দাবি করে তিনি কিছুদিন আগে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। কিউবার নেতা রাউল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কিউবার প্রথম মসজিদ তৈরি করে দেয়ার প্রস্তাব দেন।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট্ এরদোয়ানের এই প্রস্তাবের আগেই মসজিদ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে সৌদি আরব। হাভানার শিল্পাঞ্চলের কাছে সৌদি অর্থে তৈরি হতে যাচ্ছে কিউবার প্রথম মসজিদ। কিউবার ছোট্ট মুসলিম সম্প্রদায় শীঘ্রই এখানে এসে নামাজ পড়তে পারবেন বলে আশা করছেন।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫
কিভাবে দারিদ্রে জর্জরিত সিঙ্গাপুর বিশ্বের শীর্ষ আয়ের দেশ
খুবই ছোট এই নগর রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদের অপ্রতুলতা উল্লেখ করার মতো। প্রকৃত অর্থে কিছুই ছিল না তাদের। তখন তাদের পেশা-নেশা, বেঁচে থাকা সব কিছুর সঙ্গেই জড়িত ছিল ফিশিং। আর সেটি পরিচিত ছিল মাছ ধরার একটা কেন্দ্র হিসেবেই।
সিঙ্গাপুরের সেই ফিশিংম্যানরাই মাত্র ৫০ বছরে নিজেদেরকে নিয়ে গেছেন আধুনিকতার চরম শিখরে। হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, গণতান্ত্রিক ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথপিছু আয়ের দেশে। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্রের খ্যাতিতো রয়েছেই।
ফিরে দেখা সিঙ্গাপুর: ১৯৬৫ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে সিঙ্গাপুর স্বাধীনতা লাভ করে। লি কুয়ানকে বলা হয়ে থাকে আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক। তার নেতৃত্বেই স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। শুরুর দিকে সিঙ্গাপুরও ছিল তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ। সে সময়কার সিঙ্গাপুরের চেহারা ছিল আজকের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। ভাঙ্গাচোরা রাস্তা ঘাট, নিয়ন্ত্রনহীন যানবাহন, রুগ্ন, দরিদ্র মানুষে ভর্তি রাস্তা-ঘাট। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপনগরে সংখ্যাগরিষ্ঠ চীনাদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মালয় ও ভারতীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিভেদ ছিল চরমে। অপরাধ আর খুন-খারাবির কোনো বালাই ছিল না। একক সিঙ্গাপুরীয় পরিচয়ের চিন্তাও তখনো ছিল না। দুর্নীতি, অশিক্ষা আর ঘিঞ্জি ছিল চারপাশ। কিন্তু সেদিন পাল্টে গেছে।
একজন লি কুয়ান: মাত্র ৫০ বছরের পথপরিক্রমায় সিঙ্গাপুর পরিণত হয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বাসযোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন একজন মানুষ। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউর নেতৃত্বে ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি থেকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথপিছু আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে ৫৫ লাখ মানুষের দেশ সিঙ্গাপুর। এ কারণে তাকে বলা হয় আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক।
১৯৬৫ সালে প্রতিবেশি মালয়েশিয়া থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকেই মূলত এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে একটু একটু করে নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করেন লি কুয়ান। ৯ আগস্ট ১৯৬৫, লি কুয়ান ইউ জনগণের পক্ষ থেকে রিপাবলিক অব সিঙ্গাপুরের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা ঘোষণার সময়েই ঘোষণা করা হয় সিঙ্গাপুর রাষ্ট্রের মূল নীতি হবে— স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, জনকল্যাণ, সমৃদ্ধি ও সাম্য।’
সদ্য স্বাধীন দেশের ক্ষমতায় গিয়ে লি কুয়ান সবচেয়ে প্রথমে বাছাই করেছেন কিছু মেধাবি মানুষ, প্রনয়ন করেছেন দীর্ঘমেয়াদী কিছু পরিকল্পনা। প্রাথমিক দিকের এই মানুষগুলোর নিরলস পরিশ্রমে দেশটি ধীরে ধীরে তৃতীয় বিশ্বের কাতার হতে পৌছায় প্রথম বিশ্বে। লি কুয়ান মানুষের যে গুনটাকে সবচেয়ে প্রাধান্য দেন তা হচ্ছে ''সততা''। শিক্ষা দীক্ষা , মেধার, ওপরেও স্থান হচ্ছে সততার। সিঙ্গাপুরের প্রতিটা মানুষের মাঝে তিনি এই সততার ভিতটা গভীরভাবে গেথে দিয়েছেন। আসলে দেশের জন্য সকল শিক্ষা ও মেধাই ব্যর্থ যদি মানুষ অসৎ হয়। অপরাধ দমনে সেখানে রয়েছে কঠোর আইন শৃংখলা। নিñিদ্র নিরাপত্তার চাদরে দেশকে ঢেকে রাখতে ২৪ ঘন্টাই সাদা পোষাকে ঘুরে বেড়ায় পুলিশ।
সিঙ্গপুরে সবচেয়ে যে জিনিষটা মুগ্ধ করে তা হচ্ছে নারীদের নিরাপদ অবাধ চলাচল। মধ্যরাতেও একজন নারী ফাকা রাস্তায় পুরোপুরি নিরাপদ। কিছু মজার কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর আইনও এখানে সেখানে। কোন নারীর দিকে যদি কোন পুরুষ অশোভন দৃষ্টিতে তাকায়, তবে সেই নারী পুলিশে রিপোর্ট করতে পারে। পুলিশ নিয়ে এমন করকানি দেয় যাতে সেই পুরুষ আর দ্বিতীয়বার কোন নারীর দিকে তাকাতেও ভয় পায়। আরেকেটি মজাদার আইন হচ্ছে লিটারিং বা ময়লা ফেলা বিষয়ক আইন। যেখানে সেখানে থুথু ফেলা, বা ময়লা ফেলা এখানে একটি অপরাধ। কাজেই লিটারিং করলে শাস্তি হচ্ছে একদিন একটি দ্র্ঘী পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক বোরিং সেমিনারে অংশ নিতে হবে ও তারপর পুরো একটি দিন একটি নির্দিষ্ট এলাকার ঝাড়ুদারের দ্বায়িত্ব নিতে হবে।
নাগরিক সুযোগ সুবিধার কথা বলতে গেলে বলতে হবে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পানি, উন্নত ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা ব্যবস্থা যা কিনা স্কুল ও কলেজ লেভেল পর্যন্ত ফ্রি, সাবসিডাইসড উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, সবার জন্য আবাসন সুব্যবস্থা, উন্নত জব মার্কেট ইত্যাদি।
সিঙ্গাপুরের রাজনীতি: সিঙ্গাপুরের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় সংঘঠিত হয়। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান। দেশটিতে মূলত একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব বেশি। দেশের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার ও আইনসভার দায়িতে। আইনসভার সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান হলেও তার ভূমিকা মূলত আলংকারিক। তবে ইদানিং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার পরিসর কিছু বাড়ানো হয়েছে।
১৯৫৯ সালের নির্বাচন থেকে সিঙ্গাপুরের রাজনীতিকে পিপল্স অ্যাকশন পার্টি নামের রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। একাধিক বিরোধী দল উপস্থিত থাকলেও ক্ষমতায় তাদের প্রতিনিধিত্ব নেই বললেই চলে। তাই অনেক বিদেশী পর্যবেক্ষক সিঙ্গাপুরকে কার্যত একটি এক-দলীয় শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করে থাকেন। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার সবসময়ই একটি স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত সরকার হিসেবে বহির্বিশ্বে পরিচিত। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে সিঙ্গাপুর বহুদিন ধরেই এশিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশ।
(তথ্য কৃতজ্ঞতা: নাগরিক ব্লগ, উইকিপিডিয়া ও সংবাদ পত্র)- আকতারের ক্যানভাস
বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০১৫
সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানির সমস্যা ও সম্ভাবনা
বেসরকারি হিসেবে সৌদি আরবে বর্তমান ২৬ লাখ ১৫ হাজারের অধিক বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কর্মরত রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে সৌদি আরবই বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার। ৬ বছর একটানা ভিসা বন্ধ না থাকলে বর্তমান সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়ে যেত।
২০০৭ সালে সৌদি তৎকালিন বাদশা সালমান-বিন-আবদুল আজিজের প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীকে খুন ও ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় একাধিক বাংলাদেশিকে। ২০০৬-২০০৭ সালের নানা অপরাধ পর্যালোচনা করে। সৌদি আরবে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদ (শরিয়াহ বোর্ড) এর সিদ্ধান্ত ক্রমে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করা হয়। এবং ওই ঘটনায় দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালে ৮ বাংলাদেশিকে শিরচ্ছেদ করা হয়।
একই বছর বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে হত্যা ডাকাতিসহ আরও অনেক অভিযোগ এনে বাংলাদেশি ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশি ভিসা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি মালিকানাধীন মধ্যপ্রাচ্য ও সৌদি আরব থেকে স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত দৈনিকগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে। মূলত এই সব দৈনিকে অপপ্রচারের কারণেই বাংলাদেশি ভিসা বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া সৌদি আরবে যে পাঁচ লাখের অধিক রোহিঙ্গা রয়েছে। বাংলা ভাষাভাষি হওয়ায় মায়ানমারের রোহিঙ্গারাও বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে থাকেন। সৌদি আরবে নানা অপরাধের সাথে এসব রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ততা আছে বলে বিভিন্ন সংস্থা দাবি করেছে। চেহারা ও ভাষার মিল থাকায় অপরাধ সংঘটনের পরপরই দোষ চাপিয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশিদের উপর। এই কারণেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা নানা সমালোচনার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
দীর্ঘ ছয় বছরের আমার সৌদি প্রবাস জীবনের নানা অর্জন ও অভিজ্ঞতার নিরিখে আমি সৌদি আরবে নারী শ্রমিক প্রেরণের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার চেয়ে সমস্যায় বেশি দেখছি। মূলত দুটি কারণে সৌদি আরবে নারী শ্রমিক প্রেরণ হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে সৌদি আরবে নারী শ্রমিক প্রেরণের চুক্তি অনুসারে প্রতি মাসে ১০ হাজার হলে ১২ মাসে ১ লাখ ২০ হাজার নারী শ্রমিক সৌদি আরবে গেলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ সেক্টরের কি হবে? তা ভেবে না দেখে বাংলাদেশির উল্লাস দেখে পাগলের বিলাপ বলেই মনে হয়েছে আমার। দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, বিশ দলীয় জোট নেত্রী, স্পীকারসহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় পদে যে দেশের নারীদের অগ্রায়ন হয়েছে সেদেশের নারীরা বিদেশে গৃহকর্মী হয়ে গেলে দেশ কিভাবে মাথা তুলে দাঁড়াবে?
এছাড়া সৌদি আরবে যেসব নারী শ্রমিক যেতে আগ্রহী হবেন তাদের বয়স ও শারীরিক অবস্থা এবং পরিচ্ছন্নতা সৌদি আরবের গৃহকর্তা নয় স্বয়ং গৃহকর্তীদেরও পছন্দ হবে কি না সন্দেহ রয়েছে!
আমার দীর্ঘ ৪ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি কোনো ভূক্তভোগী বাংলাদেশিকে দূতাবাসের সেবা পেতে দেখিনি! দিনের পর দিন বাংলাদেশ দূতাবাস অফিসে এসে সমস্যার কথা বড় কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি অসহায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
বিদেশ যেতে নিবন্ধনের জন্য এই দীর্ঘ লাইন বলে দেয় বাংলাদেশের মানুষ অকর্মা নয়। দেশ কর্মসংস্থান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নাগরিক জীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। সম্ভবত বাংলাদেশই এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শিক্ষিত বেকারের সর্বোচ্চ দেশে পরিণত হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল
লেখক, সংগঠক ও কলামিস্ট
nazimabnews24@gmail.com
রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫
ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বড় অর্জন: প্রাথমিকে বৃত্তি পেলো ৫৪,৪৮১ জন
২০১৪ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৫৪ হাজার ৪৮১ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান রবিবার দুপুরে বৃত্তির ফল ঘোষণা করেন। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তির ফল ঘোষণা করা হয়।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ২১ হাজার ৯৮৩ জন এবং সাধারণ কোটায় ৩১ হাজার ৪০৭ জন রয়েছে। সম্পূরক বৃত্তি পেয়েছে এক হাজার ৯১ জন।
সারাদেশে সর্বোচ্চ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ১৪৫ জন বৃত্তি পেয়েছে।
প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
সোমবার, ২ মার্চ, ২০১৫
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সৌদি গমনেচ্ছু নারীকর্মীদের নিবন্ধন
আগামী ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সৌদি আরব তথা বিদেশ গমনেচ্ছু নারীকর্মীদের নিবন্ধন কার্যক্রম।
প্রথম পর্যায়ে ১১ মার্চ পর্যন্ত শুধু ঢাকা বিভাগের বাসিন্দারা নিবন্ধন করতে পারবেন। এরপর ১২ থেকে ১৬ মার্চ রাজশাহী ও রংপুর, ১৭ থেকে ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম ও সিলেট এবং ২৪ থেকে ২৮ মার্চ খুলনা ও বরিশাল বিভাগে নিবন্ধন হবে।পুরুষকর্মী এ দফায় নিবন্ধন করতে পারবেন না।
সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসীকল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রবাসী জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার।
তিনি জানান, দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের নগর তথ্যসেবা কেন্দ্রে এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে নিবন্ধন করা যাবে। প্রতি কর্মদিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে। নিবন্ধনের জন্য ৩০০ টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে সরকারি ফি ২০০ টাকা। ফরম পূরণে সহায়তার জন্য উদ্যোক্তাকে দিতে হবে ১০০ টাকা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটি। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সঙ্গে জনশক্তি রফতানিতে চুক্তি করে সৌদি সরকার। ওই দিন বিনা খরচে সৌদি আরব যাওয়ার ঘোষণায় নিবন্ধন করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। ভিড় সামলাতে না পেরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'নারী-পুরুষ কর্মী একত্রে নিবন্ধন করায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। এ কারণেই নারীদের জন্য আলাদা নিবন্ধন চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা গৃহকর্মী হিসেবে যেতে চান তাদের আলাদা নিবন্ধন করা হবে। নিবন্ধিতদের মধ্যে যারা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবে তাদের ছয় সপ্তাহ গৃহস্থালি কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।'
এদিকে, সৌদি গেজেট সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী সৌদি আরবে পৌঁছতে পারে বলে আশা করছে দেশটি।
দেশটির ইস্টার্ন প্রভিন্সের রিক্রুটমেন্ট অফিসের একাধিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবে কাজের ভিসা দেওয়া শুরু হবে। - আকতারের ক্যানভাস
বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
বিশ্বে ৩৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন সামিট ফর হেলথ (ডব্লিউআইএসএইচ)-এ প্রকাশিত ‘রাইজিং টু দ্য চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতাদের এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
২০১৪ সালে সার্বিক বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতে যে ব্যয় হয়েছে, তার ১১ শতাংশ অর্থাৎ, ৬১ কোটি ২০ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায়। নাইজেরিয়া বা সুইডেনের মোট বার্ষিক প্রবৃদ্ধির চেয়েও যা অনেক বেশি। আরও উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে, ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী যে দেশগুলোতে বাস করেন, সেখানে স্বাস্থ্যখাতে বৈশ্বিক বাজেটের মাত্র ২০ শতাংশ ব্যয় হয়।
ডায়াবেটিস হলে করণীয়
আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা অথবা ডায়াবেটিস হয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছু টিপস জেনে রাখুন। যে কোন সময় কিছু সন্দেহ হলেই দ্রুত রক্তের সুগারটি মেপে নিন।
ডায়াবেটিসের মূল লক্ষণ যেমন অতিরিক্ত পিপাসা, ঘনঘন প্রস্রাব, রাত্রে উঠে প্রস্রাব করতে হয়, প্রচুর খিদে পায় ইত্যাদি।
আপনি সব সময় সুস্থ ছিলেন, কিন্তু হঠাত্ মনে হচ্ছে ওজন কমে যাচ্ছে, অথচ খাওয় দাওয়া ঠিক মতই চলছে এবং রুচি বা ক্ষুধাও বেশ বেশি, অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত।
যদি এমন হয় দ্রুত ওজন হারাচ্ছে শরীর, অথচ তার কোন চেষ্টা করা হয়নি যেমন হাঁটাচলা, ব্যায়াম কিছুই হচ্ছে না বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণের কোন চেষ্টা চলছে না, অথবা অকারণে ওজন কমছে, তাহলে ধরে নিতে পারেন রক্তের সুগার বেড়েও যেতে পারে।
ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ করাটাই জরুরী
শুধু জীবন যাত্রার একটু খানি পরিবর্তন, একটু সচেতনতা ও সদিচ্ছা শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করতে পারে।
রোগটি যেহেতু সারা জীবনের, তাই এই রোগে যাতে আক্রান্ত না হতে পারে সে লক্ষ্যে রোগ হওয়ার আগেই একে প্রতিরোধ করাটাই জরুরী। অর্থাত্ রোগটি আদতে না হতে দেওয়া। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র সুশৃংখল জীবন যাপন। এর মাধ্যমে রোগকে দূরে রাখা সম্ভব। নিচের কিছু কিছু টিপস মেনে চললে এ দানব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব-
খাদ্যাভ্যাস:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো এবং পরিমাণ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ছোটবেলা থেকেই বেশি বেশি সবুজ শাক সবজির সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী মাছ খেতে হবে। কম চর্বি ও কর্ম শর্করাযুক্ত খাদ্য গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ হতে হবে। অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি পরিহার বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, সরবত, গ্লুকোজ, পায়েস ইত্যাদি কম খেতে হবে। ধূমপানের বিরুদ্ধে যেমন গণসচেতনতা গড়ে উঠেছে, তেমনিভাবে মন্দ খাদ্যাভ্যাসের বিরুদ্ধেও সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।
কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম
ডায়াবেটিসের রোগীর ব্যায়ামের বিকল্প নেই। অবশ্যই রোগীদের নিয়মিত কায়িক শ্রম এবং যত অল্পই হোক সার্মথ্য অনুযায়ী ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সকাল সন্ধ্যা নিয়মিত হাঁটাচলা, হাটে বাজারে কোথাও গেলে অল্প দূরত্বে রিকশা বা গাড়ি ব্যবহার না করা, অল্প কয়েক তলার জন্য লিফট ব্যবহার না করা ইত্যাদি। আরো সম্ভব হলে সাঁতার বা জগিং করা, ব্যায়ামাগারে গিয়ে সৃশৃংখল ব্যায়াম করা। মোট কথা নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তের ভালো কোলেস্টেরল কম থাকে, যা করোনারি হার্ট ডিজিজের একটি বড় ঝুঁকি থাকে। ব্যায়ামের মাধ্যমে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ানো যায়।
নিয়ম শৃঙ্খলা
ডায়াবেটিস রোগীর জীবন কাঠি হলো নিয়ম-শৃঙ্খলভাবে জীবন যাপন। এর মানে সব কিছু নিয়ম মাফিক মেনে চলা। যেমন-খাওয়া-দাওয়া, ঠিক মত হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করা, ওষুধপত্র নিয়ম মাফিক ব্যবহার করা ইত্যাদি। যারা শৃঙ্খলা মেনে চলে তারা যেমন ডায়াবেটিস হওয়া থেকেও মুক্ত থাকতে পারে, এমনকি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে একে নিয়ন্ত্রণে রাখাও খুবই সহজসাধ্য ব্যাপর হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন যেমন সম্ভব হয়, তেমনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য প্রতিনিয়ত বয়ে আনে সমস্যাগুলো থেকেও বাঁচা সম্ভব।
এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে পাঠ্যপুস্তকে সঠিক জীবনাচরণ সম্পর্কে তথ্য অর্ন্তভূক্তি, মিডিয়ার ব্যবহার, শিক্ষক, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক নেতাদের প্রশিক্ষণ, সমাজ কর্মীদের সচেতন করে তোলা, সচেতনতা ক্যাম্প ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
বিনামুল্যে আইটি প্রশিক্ষন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইরুডিভার্সিটি
প্রতিষ্ঠানটির ফ্রি-প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ইন্টারেক্টিভ ভিডিও টিউটোরিয়াল এর মাধমে চাকুরী নির্ভর বাংলা কোর্স চালু করা হয়েছে। ফলে এখন ইংরেজি, স্প্যানিশ ও হিন্দী এর পাশাপাশি বাংলায়ও প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ থাকছে। ২০১৪ সালে শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক ইন্টারেক্টিভ ওপেন সোর্স ওয়েব প্ল্যাটফর্ম চালু করে এবং ইতিমধ্যে সারা বিশ্বের অসংখ্য প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে সফল হয়েছে।
ইরুডিভার্সিটির পরিচালক থমাস বায়ডিএান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সারা বিশ্বের বিপুল সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষীদের চাহিদার কথা চিন্তা করে আমরা বাংলা ভাষায় ট্রেনিং ভিডিও অনুবাদ কার্যক্রম শুরু করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাকুরিনির্ভর এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখন বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে অনলাইনে বসে শিক্ষার্থীরা ফ্রি-ল্যান্সার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, কার্টুন অ্যানিমেটর, সফটওয়্যার ডেভেলপার বা উদ্যোক্তা হতে পারবে।’
অন্যদিকে এই প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষকরা নতুন কোর্স তৈরি করে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে কোর্সটির জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে আয় করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানটি বিনা মূল্যে উচ্চ মানের টিউটোরিয়াল ভিডিওর সাহায্যে প্রশিক্ষণার্থীদের বর্তমান চাকুরী বাজার উপযোগী হাই-ডিমান্ড টেকনিক্যাল কোর্স এবং সফটওয়্যার টুলস বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে বদ্ধপরিকর।
প্রতিষ্ঠানটি প্রতি সপ্তাহে নতুন ভিডিও টিউটোরিয়াল যুক্ত করার পাশাপাশি আরও নতুন কিছু ভাষায় কোর্স চালু করার পরিকল্পনাও করছে। ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা সহজে বিনা খরচে ঘরে বসে আইসিটি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকেও অনলাইনে পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট পাবার সুযোগ থাকছে বলে জানান এ কোম্পানির কর্মকর্তারা, যা কিনা বর্তমান চাকুরী বাজারে বেশ সহায়তা করবে। আরও জানতে ভিজিট: www.erudeversity.com।
বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
‘অনলাইনেও নিবন্ধন করতে পারবেন সৌদি গমনেচ্ছুরা’
এছাড়া অফিস চলাকালীন সময়ে জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর(বিএমইটি) অধীনে সব জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয় এবং দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য তাড়াহুড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বিদেশ গমনেচ্ছুরা বিএমইটির ওয়েবসাইটের (www.bmet.gov.bd) মাধ্যমেও অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন।
এদিকে, নিবন্ধন ফরম জমা দিতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ভিড় করেছেন সৌদি আরব গমনেচ্ছুরা। সেখানে হাজারো মানুষের ভিড়ে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি গমনেচ্ছুদের ভিড় প্রবাসী কল্যাণ ভবন থেকে পূর্বে রমনা থানা ও পশ্চিমে টেলিযোগাযোগ ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
সৌদি আরব গমনেচ্ছু হাজার হাজার মানুষের চাপ সামাল দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, সৌদি সরকারের সঙ্গে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর সৌদি আরবের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হল বাংলাদেশের জন্য। চুক্তি অনুযায়ী আপাতত শুধু ৮০০ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার টাকা) বেতনে গৃহকর্মী (নারী) নেবে সৌদি আরব। এর পর ধীরে ধীরে মালী ও দারোয়ানসহ অন্য ১১টি গৃহস্থালির কাজে কর্মী নেবে তারা।