ছবির মতোই সুন্দর ছিল আমার গ্রামটা...

বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন উপায় থাকতোনা। যেন মহসড়কের পাশে বিচ্ছিন্ন ছোটএকটা দ্বীপ।

সমস্যা যত বড়ই হোক, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে

আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷

ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের সব দর্শনীয় স্থানে

অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়ই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা আমাদের দেশকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। শত বছর ধরে লাখো পর্যটককে করেছে আকৃষ্ট।

মানবসেবাই সর্বোত্তম ধর্ম: ফাদার তেরেসা

অসহায়, দুস্থ মানুষের সহায়তাই তার ধ্যান-জ্ঞান।সহিংসতার বিপরীতে তিনি অসহায়ের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন।তিনি পাকিস্তানের আবদুল সাত্তার ইদি।অসম্ভব মানবসেবার কারনে ৮৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার দেশে ফাদার তেরেসা নামেই বেশি পরিচিত।

‘মানসিক প্রশান্তির জন্য সাইকেল’

যাত্রা পথে পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তা আর ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বিকল্প হলো একটা বাই সাইকেল। তাছাড়া ইদানিং স্বাস্থ্যটার দিকেও মনে হচ্ছে একটু যত্ন নেয়া দরকার।

বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বিশ্বে ৩৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

বর্তমানে বিশ্বে ৩৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৩৫ সালের মধ্যে এ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০ কোটিতে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন যে হারে বাড়ছে, তা জন্ম দিচ্ছে শঙ্কার।

ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন সামিট ফর হেলথ (ডব্লিউআইএসএইচ)-এ প্রকাশিত ‘রাইজিং টু দ্য চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতাদের এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

২০১৪ সালে সার্বিক বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতে যে ব্যয় হয়েছে, তার ১১ শতাংশ অর্থাৎ, ৬১ কোটি ২০ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায়। নাইজেরিয়া বা সুইডেনের মোট বার্ষিক প্রবৃদ্ধির চেয়েও  যা অনেক বেশি। আরও উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে, ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী যে দেশগুলোতে বাস করেন, সেখানে স্বাস্থ্যখাতে বৈশ্বিক বাজেটের মাত্র ২০ শতাংশ ব্যয় হয়।

ডায়াবেটিস হলে করণীয়

আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা অথবা ডায়াবেটিস হয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছু টিপস জেনে রাখুন। যে কোন সময় কিছু সন্দেহ হলেই দ্রুত রক্তের সুগারটি মেপে নিন।

ডায়াবেটিসের মূল লক্ষণ যেমন অতিরিক্ত পিপাসা, ঘনঘন প্রস্রাব, রাত্রে উঠে প্রস্রাব করতে হয়, প্রচুর খিদে পায় ইত্যাদি।

আপনি সব সময় সুস্থ ছিলেন, কিন্তু হঠাত্ মনে হচ্ছে ওজন কমে যাচ্ছে, অথচ খাওয় দাওয়া ঠিক মতই চলছে এবং রুচি বা ক্ষুধাও বেশ বেশি, অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত।

যদি এমন হয় দ্রুত ওজন হারাচ্ছে শরীর, অথচ তার কোন চেষ্টা করা হয়নি যেমন হাঁটাচলা, ব্যায়াম কিছুই হচ্ছে না বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণের কোন চেষ্টা চলছে না, অথবা অকারণে ওজন কমছে, তাহলে ধরে নিতে পারেন রক্তের সুগার বেড়েও যেতে পারে।


ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ করাটাই জরুরী

শুধু জীবন যাত্রার একটু খানি পরিবর্তন, একটু সচেতনতা ও সদিচ্ছা শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করতে পারে।

রোগটি যেহেতু সারা জীবনের, তাই এই রোগে যাতে আক্রান্ত না হতে পারে সে লক্ষ্যে রোগ হওয়ার আগেই একে প্রতিরোধ করাটাই জরুরী। অর্থাত্ রোগটি আদতে না হতে দেওয়া। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র সুশৃংখল জীবন যাপন। এর মাধ্যমে রোগকে দূরে রাখা সম্ভব। নিচের কিছু কিছু টিপস মেনে চললে এ দানব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব-

খাদ্যাভ্যাস:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো এবং পরিমাণ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ছোটবেলা থেকেই বেশি বেশি সবুজ শাক সবজির সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী মাছ খেতে হবে। কম চর্বি ও কর্ম শর্করাযুক্ত খাদ্য গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ হতে হবে। অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি পরিহার বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, সরবত, গ্লুকোজ, পায়েস ইত্যাদি কম খেতে হবে। ধূমপানের বিরুদ্ধে যেমন গণসচেতনতা গড়ে উঠেছে, তেমনিভাবে মন্দ খাদ্যাভ্যাসের বিরুদ্ধেও সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।

কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম

ডায়াবেটিসের রোগীর ব্যায়ামের বিকল্প নেই। অবশ্যই রোগীদের নিয়মিত কায়িক শ্রম এবং যত অল্পই হোক সার্মথ্য অনুযায়ী ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সকাল সন্ধ্যা নিয়মিত হাঁটাচলা, হাটে বাজারে কোথাও গেলে অল্প দূরত্বে রিকশা বা গাড়ি ব্যবহার না করা, অল্প কয়েক তলার জন্য লিফট ব্যবহার না করা ইত্যাদি। আরো সম্ভব হলে সাঁতার বা জগিং করা, ব্যায়ামাগারে গিয়ে সৃশৃংখল ব্যায়াম করা। মোট কথা নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তের ভালো কোলেস্টেরল কম থাকে, যা করোনারি হার্ট ডিজিজের একটি বড় ঝুঁকি থাকে। ব্যায়ামের মাধ্যমে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ানো যায়।

নিয়ম শৃঙ্খলা

ডায়াবেটিস রোগীর জীবন কাঠি হলো নিয়ম-শৃঙ্খলভাবে জীবন যাপন। এর মানে সব কিছু নিয়ম মাফিক মেনে চলা। যেমন-খাওয়া-দাওয়া, ঠিক মত হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করা, ওষুধপত্র নিয়ম মাফিক ব্যবহার করা ইত্যাদি। যারা শৃঙ্খলা মেনে চলে তারা যেমন ডায়াবেটিস হওয়া থেকেও মুক্ত থাকতে পারে, এমনকি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে একে নিয়ন্ত্রণে রাখাও খুবই সহজসাধ্য ব্যাপর হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন যেমন সম্ভব হয়, তেমনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য প্রতিনিয়ত বয়ে আনে সমস্যাগুলো থেকেও বাঁচা সম্ভব।

এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে পাঠ্যপুস্তকে সঠিক জীবনাচরণ সম্পর্কে তথ্য অর্ন্তভূক্তি, মিডিয়ার ব্যবহার, শিক্ষক, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক নেতাদের প্রশিক্ষণ, সমাজ কর্মীদের সচেতন করে তোলা, সচেতনতা ক্যাম্প ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বিনামুল্যে আইটি প্রশিক্ষন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইরুডিভার্সিটি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনপ্রিয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ইরুডিভার্সিটি (www.erudeversity.com) সম্প্রতি বাংলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির ফ্রি-প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ইন্টারেক্টিভ ভিডিও টিউটোরিয়াল এর মাধমে চাকুরী নির্ভর বাংলা কোর্স চালু করা হয়েছে। ফলে এখন ইংরেজি, স্প্যানিশ ও হিন্দী এর পাশাপাশি বাংলায়ও প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ থাকছে। ২০১৪ সালে শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক ইন্টারেক্টিভ ওপেন সোর্স ওয়েব প্ল্যাটফর্ম চালু করে এবং ইতিমধ্যে সারা বিশ্বের অসংখ্য প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে সফল হয়েছে।

ইরুডিভার্সিটির পরিচালক থমাস বায়ডিএান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সারা বিশ্বের বিপুল সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষীদের চাহিদার কথা চিন্তা করে আমরা বাংলা ভাষায় ট্রেনিং ভিডিও অনুবাদ কার্যক্রম শুরু করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাকুরিনির্ভর এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখন বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে অনলাইনে বসে শিক্ষার্থীরা ফ্রি-ল্যান্সার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, কার্টুন অ্যানিমেটর, সফটওয়্যার ডেভেলপার বা উদ্যোক্তা হতে পারবে।’


অন্যদিকে এই প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষকরা নতুন কোর্স তৈরি করে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে কোর্সটির জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে আয় করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানটি বিনা মূল্যে উচ্চ মানের টিউটোরিয়াল ভিডিওর সাহায্যে প্রশিক্ষণার্থীদের বর্তমান চাকুরী বাজার উপযোগী হাই-ডিমান্ড টেকনিক্যাল কোর্স এবং সফটওয়্যার টুলস বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে বদ্ধপরিকর।


প্রতিষ্ঠানটি প্রতি সপ্তাহে নতুন ভিডিও টিউটোরিয়াল যুক্ত করার পাশাপাশি আরও নতুন কিছু ভাষায় কোর্স চালু করার পরিকল্পনাও করছে। ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা সহজে বিনা খরচে ঘরে বসে আইসিটি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকেও অনলাইনে পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট পাবার সুযোগ থাকছে বলে জানান এ কোম্পানির কর্মকর্তারা, যা কিনা বর্তমান চাকুরী বাজারে বেশ সহায়তা করবে। আরও জানতে ভিজিট: www.erudeversity.com।

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

‘অনলাইনেও নিবন্ধন করতে পারবেন সৌদি গমনেচ্ছুরা’

এখন থেকে অনলাইনেও নিবন্ধন করতে পারবেন সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে গমনেচ্ছুরা। বিদেশ গমনেচ্ছুরা বিএমইটির ওয়েবসাইটের (www.bmet.gov.bd) মাধ্যমেও অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন।

এছাড়া অফিস চলাকালীন সময়ে জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর(বিএমইটি) অধীনে সব জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয় এবং দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য তাড়াহুড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বিদেশ গমনেচ্ছুরা বিএমইটির ওয়েবসাইটের (www.bmet.gov.bd) মাধ্যমেও অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন।

এদিকে, নিবন্ধন ফরম জমা দিতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ভিড় করেছেন সৌদি আরব গমনেচ্ছুরা। সেখানে হাজারো মানুষের ভিড়ে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি গমনেচ্ছুদের ভিড় প্রবাসী কল্যাণ ভবন থেকে পূর্বে রমনা থানা ও পশ্চিমে টেলিযোগাযোগ ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।

সৌদি আরব গমনেচ্ছু হাজার হাজার মানুষের চাপ সামাল দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, সৌদি সরকারের সঙ্গে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর সৌদি আরবের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হল বাংলাদেশের জন্য। চুক্তি অনুযায়ী আপাতত শুধু ৮০০ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার টাকা) বেতনে গৃহকর্মী (নারী) নেবে সৌদি আরব। এর পর ধীরে ধীরে মালী ও দারোয়ানসহ অন্য ১১টি গৃহস্থালির কাজে কর্মী নেবে তারা।

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

শেষ পর্যন্ত ৮’শ রিয়ালেই খুশি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে গৃহ খাতে কর্মী নিতে চুক্তি করেছে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ। কথা ছিল গৃহকর্মীরা ২৫ হাজার ২০০ টাকা (১২০০ রিয়াল) থেকে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা (১৫০০ রিয়াল) বেতন পাবেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৬ হাজার ৮০০ টাকায়ই (৮০০ রিয়াল) গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হয়ে গেছে বাংলাদেশ। আর গৃহকর্মী ছাড়া অন্যান্য খাতে কবে থেকে বা কতজন শ্রমিক নেয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সফররত সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
প্রতিনিধিদলে সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্বে দেন দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাইদ। আর বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ইফতেখার হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, গৃহ খাতে মোট ১২টি পেশা রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমরা নারী গৃহকর্মী পাঠানোর জন্য বেতন নির্ধারণ করেছি। সৌদি আরব নারী গৃহকর্মীদের থাকা খাওয়াসহ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছে।

জানা গেছে, নির্যাতনসহ নানা কারণে ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা,নেপাল, ভারত, এমনকি ইন্দোনেশিয়াও এখন আর সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হচ্ছে না। আর এই কারণেই সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে নারী কর্মী নিতে চাইছে।
এরআগে সোমবার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, ২৫ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩১ হাজার ৫০০ টাকার নিচে কোনোভাবেই কর্মী পাঠাবে না বাংলাদেশ। অথচ মাত্র এক দিনের মাথায় এত কম টাকায় বাংলাদেশ কেন নারী গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হলো বাংলাদেশ, জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, বেতন ১৬ হাজার ৮০০ টাকা হলেও থাকা-খাওয়াসহ সব সুযোগ সুবিধা পাবেন কর্মীরা। আর এ বেতন শুধু গৃহকর্মীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি খাতগুলোর বেতন এখনো ঠিক হয়নি।

সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আহমেদ আল ফাহাইদ বলেন, গৃহকর্মীদের অধিকারসহ অন্যান্য অধিকার রক্ষা করা হবে। কেউ আইন ভাঙলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দীর্ঘ ছয় বছর পর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে বিভিন্ন খাতে বিপুল পরিমাণ কর্মী দেশটিতে যাওয়ার আশায় আছে। তবে গৃহ খাত বাদে অন্যান্য খাতে কবে নাগাদ কর্মী যেতে পারবেন, সে ব্যাপারে এখনো কিছুই জানায়নি সৌদি আরব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমরা আশা করছি গৃহ খাতে কর্মী যাওয়া শুরুর পর এ বিষয়েও আমরা চুক্তি করতে পারব।