মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

শেষ পর্যন্ত ৮’শ রিয়ালেই খুশি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে গৃহ খাতে কর্মী নিতে চুক্তি করেছে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ। কথা ছিল গৃহকর্মীরা ২৫ হাজার ২০০ টাকা (১২০০ রিয়াল) থেকে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা (১৫০০ রিয়াল) বেতন পাবেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৬ হাজার ৮০০ টাকায়ই (৮০০ রিয়াল) গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হয়ে গেছে বাংলাদেশ। আর গৃহকর্মী ছাড়া অন্যান্য খাতে কবে থেকে বা কতজন শ্রমিক নেয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সফররত সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
প্রতিনিধিদলে সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্বে দেন দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাইদ। আর বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ইফতেখার হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, গৃহ খাতে মোট ১২টি পেশা রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমরা নারী গৃহকর্মী পাঠানোর জন্য বেতন নির্ধারণ করেছি। সৌদি আরব নারী গৃহকর্মীদের থাকা খাওয়াসহ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছে।

জানা গেছে, নির্যাতনসহ নানা কারণে ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা,নেপাল, ভারত, এমনকি ইন্দোনেশিয়াও এখন আর সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হচ্ছে না। আর এই কারণেই সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে নারী কর্মী নিতে চাইছে।
এরআগে সোমবার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, ২৫ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩১ হাজার ৫০০ টাকার নিচে কোনোভাবেই কর্মী পাঠাবে না বাংলাদেশ। অথচ মাত্র এক দিনের মাথায় এত কম টাকায় বাংলাদেশ কেন নারী গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হলো বাংলাদেশ, জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, বেতন ১৬ হাজার ৮০০ টাকা হলেও থাকা-খাওয়াসহ সব সুযোগ সুবিধা পাবেন কর্মীরা। আর এ বেতন শুধু গৃহকর্মীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি খাতগুলোর বেতন এখনো ঠিক হয়নি।

সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আহমেদ আল ফাহাইদ বলেন, গৃহকর্মীদের অধিকারসহ অন্যান্য অধিকার রক্ষা করা হবে। কেউ আইন ভাঙলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দীর্ঘ ছয় বছর পর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে বিভিন্ন খাতে বিপুল পরিমাণ কর্মী দেশটিতে যাওয়ার আশায় আছে। তবে গৃহ খাত বাদে অন্যান্য খাতে কবে নাগাদ কর্মী যেতে পারবেন, সে ব্যাপারে এখনো কিছুই জানায়নি সৌদি আরব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমরা আশা করছি গৃহ খাতে কর্মী যাওয়া শুরুর পর এ বিষয়েও আমরা চুক্তি করতে পারব।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন