সোমবার, ৫ মে, ২০১৪

এক বছরেও খোলেনি দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি, বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে পথ চেয়ে সহস্রাধিক কর্মী



আকতার হোসেন
এক বছরেও সম্প্রচারের আসতে পারলনা সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ থাকা টিভি চ্যানেল দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি। বরং দিন যত গড়াচ্ছে চ্যানেল দুটি চালু করতে অনিশ্চয়তার ঘোর যেন কাটতেই চাইছেনা। বিভিন্ন সময় তথ্যমন্ত্রী ও সরকারের তরফ থেকে চ্যানেল দুটি খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যত কোন ফল দেখা যায়নি।

বরং বছর জুড়েই সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সভাসমাবেশে বক্তৃতার খোরাক জুগিয়েছে বিষয়টি। চাকরি ফিরে পায়নি প্রতিষ্ঠান দুটির বেকার হওয়া শহস্রাধিক কর্মী।

রাজনৈতিক সহিংসতার জেরে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ঘটনা সম্প্রচার করার কারণে ২০১৩ সালের  ৬ মে ভোর রাতে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয় চ্যানেল দুটির সম্প্রচার। সেই থেকে আজ অবধি আর আলোর মুখ দেখেনি চ্যানেল দুটো। সম্প্রচারহীন চ্যানেল কর্তৃপক্ষও একে একে চাকরিচ্যুত করেছে বেশিরভাগ সংবাদ কর্মীকে। এদের মধ্যে অনেকেই বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কেউ কেউ খুঁজে নিয়েছেন নতুন ঠিকানা।
এদিকে দিন গড়ালেও সরকারের মন গলেনি একটুও। মাঝে মধ্যে সাংবাদিক নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে চ্যানেল দুটি খুলে দেওয়ার কথা বলা হলেও তা বক্তব্যতেই আটকে আছে। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের এক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, দেশে কোন কোন মিডিয়া বন্ধ আছে তা আমাদের জানা আছে। দিগন্ত ও ইসলামিক টিভিসহ যে কয়টি মিডিয়া বন্ধ আছে সেগুলোকে আপনারা সাংবাদিকরা গোলাপজল দিয়ে ধুয়ে দিন তারপর দেখি এগুলো খুলে দিতে পারি কিনা।
এদিকে চ্যানেল দুটি বন্ধের এক বছর পূর্তিতে নানা কর্মসূচি নিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৬ মে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মৌন মানববন্ধন করবে দিগন্ত টিভির সাংবাদিক কর্মকর্তারা। মানববন্ধন শেষে তথ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি দিবেন তারা।
সোমবার দিগন্ত টিভি কর্তৃপক্ষ পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ মে মঙ্গলবার দিগন্ত টেলিভিশনের সাময়িক সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞার ১বছর। ২০১৩ সালের ৬ মে ভোর রাত ৪টা ২৪মিনিটে বিটিআরসির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দিগন্ত টেলিভিশন কার্যালয়ে এসে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশের কথা জানিয়ে এর সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এর দুদিন পর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে চ্যানেলটির সম্প্রচারের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।
র্দীঘ বছরাধিক কাল ধরে জীবিকাহীন জীবন-যাপনে বির্পর্যস্ত দিগন্ত  পরিবারের প্রতিটি সদস্য। প্রতিষ্ঠানটির  এবং বৃহত্তর  গণমাধ্যম ও সমাজের বিশিষ্টজনেরা ব্যক্তিগত কিংবা  সমষ্টিগতভাবে যখনই সরকারের সম্মানীয় নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি  আর্কষণ করেছেন প্রতিবারই আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে এ নিষেধাজ্ঞা সাময়কি এবং সরকার বিষয়টি সহর্মমিতার সাথে বিবেচনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির শত শত সাংবাদিক, র্কমর্কতা, র্কমচারী, শিল্পী, কলাকুশলী র্কমহীন বেকারত্বের বোঝা নিয়ে অধীর অপক্ষোয় দিনাতিপাত করছে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন