ছবির মতোই সুন্দর ছিল আমার গ্রামটা...
বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন উপায় থাকতোনা। যেন মহসড়কের পাশে বিচ্ছিন্ন ছোটএকটা দ্বীপ।
সমস্যা যত বড়ই হোক, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে
আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷
ঘুরে আসুন নারায়ণগঞ্জের সব দর্শনীয় স্থানে
অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়ই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা আমাদের দেশকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। শত বছর ধরে লাখো পর্যটককে করেছে আকৃষ্ট।
মানবসেবাই সর্বোত্তম ধর্ম: ফাদার তেরেসা
অসহায়, দুস্থ মানুষের সহায়তাই তার ধ্যান-জ্ঞান।সহিংসতার বিপরীতে তিনি অসহায়ের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন।তিনি পাকিস্তানের আবদুল সাত্তার ইদি।অসম্ভব মানবসেবার কারনে ৮৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার দেশে ফাদার তেরেসা নামেই বেশি পরিচিত।
‘মানসিক প্রশান্তির জন্য সাইকেল’
যাত্রা পথে পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তা আর ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বিকল্প হলো একটা বাই সাইকেল। তাছাড়া ইদানিং স্বাস্থ্যটার দিকেও মনে হচ্ছে একটু যত্ন নেয়া দরকার।
রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭
মাংস ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধান হবে, ভোক্তাসমস্যার সমাধান হবেকি ?
রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭
হাওরবাসীর দুর্দিন: জনসাধারনের ত্রাণ তৎপরতা কই?

বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭
এলেন বাড়ির বৈঠক কোন সমাধান নয়, চক্রান্তেরই অংশ
![]() |
কার স্বার্থে চালু হলো সিটিং সার্ভিস ; |
গত ৪/৫ দিনে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগে অনেকেই সিটিং সার্ভিস পুনরায় ফেরা নিয়ে মায়া কান্না দেখিয়েছেন। অবশ্য যারা এমনটি করছে চাহিদার জন্য না, বরং এটা তাদের অধৈর্যের বহিপ্রকাশ।
যাই হোক- গতকয়েকদিনেরর মহা নাটকের আপাতত একটা রফা হয়েছে, বুধবারের এলেনবাড়ির বৈঠকে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মানে পিছু হটেছে সরকার। দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়েছে পরিবহন মালিকরা। তারা ভাড়া কমায়নি, সেবার মান বাড়ায়নি, জনগনের সাথে তাদের আচরন বদলায়নি উল্টো এনবিআর থেকে ট্যাক্স কমানোর ঘোষনা নিয়ে নিছেন। সিটিং চালুর বৈধতা নিয়ে নিছেন। আপাত দৃষ্টিতে এই বৈঠকে তাদেরই জয় হয়েছে, পরাজয় ঘটেছে সাধারন যাত্রী ও সরকারের।
তাহলে এখন চোখ রাখা যাক গতকালের সেই বৈঠকে- এটাকে আমি বৈঠক বলবোনা। বলবো ষড়যন্ত্রের এক গোপন শলাপরামর্শ হয়েছে এলেন বাড়িতে। কারন জনগনের ভোগান্তি হলেও জনগনকে সম্পৃক্ত করা হয়নি ওই বৈঠকে। ছিলনা সরকার পক্ষের কর্তা ব্যাক্তিরাও। অথবা নিয়ম অনুযায়ি যাত্রী সাধারণকে নিয়ে গণশুনানীর আয়োজন করা যেত।
অথচ বৈঠক করেছে ঘুষখোর আর দুর্ণীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত বিআরটিএর কতিপয় কর্মকর্তারা এবং এই নাটকের মুল খলনায়ক বাস মালিকরা। তাহলে কী আলোচনা হতে পারে সেই বৈঠকে?? তারা নিজেদের স্বার্থেই আলোচনায় বসেছিল সেখানে।
রাজধানীর ফার্মগেটের এলেনবাড়িতে বিআরটি এর কার্যালয়
|
ঘটনার একটা যৌক্তিক ও গ্রহনযোগ্য একটা সমাধান দিতে এদের বাইরে ২ জনকে রাখা হলো তাদের একজন নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, উনি অবশ্য সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসার প্রস্তাব করেছিল। তার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছেন অতীতে সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়ে মাঝপথে আটকে গেছে। পরে আর সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি। তাই এবার পিছু হটা উচিত হবে না। কিন্তু তার আপত্তি হাওয়ায় মিলে গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান। শুনেছি তারই মস্তিস্ক থেকে নাকি সমাধানের এই মহান থিওরী প্রসব হয়েছে। যদিও তার নৈতিকতা নিয়ে আমার ঘোর আপত্তি অাছে। উনি টকশোতে যখন কথা বলে তখন মুগ্ধ হয়ে শুনি। কিন্তু বাজারে এ-ও রটনা আছে যে কোন বিষয় স্টাবলিশ করতে তাকে নাকি কন্টাক করে নিয়ে যাওয়া হয় যুক্তি তর্ক দিয়ে বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এবং তিনি এই লাইনে অনন্য। আর গতকালও তিনি ঠিক কার স্বার্থে কথা বলতে সেই মিটিংএ হাজির ছিলেন তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো থেকেই কোট করছি গতকাল বৈঠকে তার ভূমিকা, সিটিং সার্ভিস বন্ধের অভিযান ১৫ দিন স্থগিত রাখা এবং এটি আইনি কাঠামোতে এনে চালু করার পরামর্শটি সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানের কাছ থেকে এসেছে বলে বৈঠক সূত্র জানায়। একপর্যায়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বৈঠক থেকে উঠে নিজ কক্ষে ঘুরে আসেন। এরপরই সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।
এ সময় তিনি বলেন, ‘একটা উদ্দেশ্য নিয়েই মালিকেরা সিটিং সার্ভিস বন্ধ করেছিলেন। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাঁদের সে উদ্যোগে সহায়তা করেছি। তবে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ার পর নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। এ জন্যই সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত ১৫ দিন স্থগিত করা হয়েছে।’`
আমার বক্তব্য হলো, ওই বৈঠকে বাস কর্তৃপক্ষরা নিজেদের স্বার্থে কথা বলেছে। দেশ বা জনগনের স্বার্থ নয়।
কালকে কেন, কেউ জোড়ালো ভাবে সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্যকারি বাস মালিকদের কঠোর শাস্তির দাবি জানালোনা?? আইনে আছে কেউ কারন ছাড়া বাস চলাচল বন্ধ রাখলে তাদের রুট পারমিট বাতিল করা হবে। সেই আইনের প্রয়োগ কেউ দেখালোনা কেন? জনগনের প্রতিনিধি আমাদের দুই সাহসী মেয়র মহোদয়দের রাখা হলোনা কেন ওই বৈঠকে, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ছিলনা কেন ঐ বৈঠকে। তাহলে দেখতাম বাস মালিকদের কতবড় বুকের পাটা ছিল গুন্ডামী করার।
অতীতের কর্মকান্ডের জন্য জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকার দুই মেয়র এবং মাননীয় সেতু মন্ত্রী সাহেবের প্রতি আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। এবং আমাদের বিশ্বাস তাদের সিদ্ধান্তেও জনগনের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটতো।
রাজধানীর ফার্মগেটের এলেনবাড়িতে বিআরটি এর কার্যালয় |
অথচ এই দুই অভিযোগের কোন সুরাহা না করে বাস মালিকদের অনৈতিক দাবির কাছেই হার মেনেছে মেরুদন্ডহীন সরকারি কর্মকর্তারা। তাই আমার বিশ্বাস বুধবার বিকেলে এলেন বাড়ির ওই বৈঠকটি কোন বৈঠক ছিলনা, ছিল জনগনকে ঠকানোর এক গোপন ষড়যন্ত্র।
- আকতার হাবিব, সাংবাদিক, ঢাকা।
রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭
বন্ধ হলো সিটিং সার্ভিস: ভোগান্তি কমবে তো নগরবাসীর ?
“সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য যে। বাসের কোনো টিকেট সিস্টেম নাই। যাত্রীদের সাথে অনেক সময় চরম পর্যায়ের খারাপ ব্যবহার করা হয়। অনেকে জানেনা গন্তব্য স্থলের ভাড়া কত। যার থেকে পারে ইচ্ছা মতো ভাড়া নেওয়া হয়। বাস এক জায়গায় অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রতিবাদ করতে গেলে খারাপ ব্যবহারের শিকার হতে হয়। আরেকটা খারাপ দিক হলো কার আগে কে যেতে পারে। চলন্ত অবস্থায় যাত্রী উঠতে, নামাতে গিয়ে অনেকে সময় এক্সিডেন্টের ঘটনা ও ঘটে। বাস গুলো কে নির্দিষ্ট স্টপিস মেইনটেইন করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হলো। ”
যদিও রাজধানীতে সিদ্ধান্ত কার্যকরে ৫ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে কিন্তু এটা কতদিন চলবে তা নিয়েও সন্দিহান সাধারন মানুষ।
শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭
প্রসঙ্গ ফেসবুক: যখন পড়বেনা মোড় পায়ের চিহ্ন এই বাটে...

সবকিছু মিলিয় ৫ মিনিটের জার্নি ঘন্টা ছাড়ালো কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলোনা।।
সবচে বেশি যে বিষয়টি মনে দাগ কেটে গেলো..তা হলো, মেসেঞ্জার বক্স।। সেটা খুলতেই যেন খবরের ডালা খুলে দিল ফোসবুক। কুশলাদি বিনিময় করে কত কত আপনজন মেসেজ করে রেখেছে।
কেউ জরুরি অতি জরুরি খবর দিতে বা নিতে চেয়েছে, কেউবা শ্রেফ খোজ খবর জানতে চেয়েছে। নাম্বার চেয়েছে অনেকেই।
সবচে মজার বিষয় হলো, গেল সপ্তাহখানেক অাগে ২৬তম জন্মদিন গেলো।। আর এই আইডিতে ঢুকে দেখি...২০১৪/১৫ সালের পাঠানো জন্মদিনের শুভেচ্ছার জবাব দেয়া হয়নি। এমনকি দেখতেও পাইনি আমি...কেউ কেউ লিখেছে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করার কথা।.....।
পুরান আমার এই প্রোফাইল চেক করে মনে হলো..কোন মৃত মানুষের ফেসবুকে ঢুকেছি আমি। যেখানে হঠাৎ করেই ব্যাবহারকারির প্রস্থানের কারনে থমকে গেছে সব খবর। বন্ধ রয়েছে সব আপডেট। ভাবতেই মনটা বিষিয়ে উঠল। আসলেইকি মরে ছিলাম আমি এই কয় বছর?
কিছুদিন আগে কোন কোন অনলাইন পত্রিকায় নিউজ দেখেছিলাম, এপর্যন্ত কোটি খানেক ফেসবুক ইউজারের মৃত্যু হয়েছে। নিউজের সুত্র অবশ্য মৃতমানুষদের কোন জরিপনা, বরং ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ধারনা প্রসুত একটি সমীক্ষা দিয়েছে। কারন কেউ মারা গেলেত আর স্ট্যাটাস দিয়ে বা ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে যেতে পারেনা..যে জনাব, জাকারবার্গ আমি মরে যাচ্ছি। তাই আমার একাউন্টটি স্থগিম করুন। সম্ভবত, যেসব ফেসবুক ইউজার দীর্ঘ দিন তার আইডিতে ঢোকেনা, তাদেরকেই মৃত সাব্যস্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তাহলেকি আমাকেও তারা মৃতদের তালিকায় ফেলেছিল?? এই প্রশ্নটিই বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে মনে।

যাইহোক, আজকের এই উপলব্ধির মুল কথা হলো, এই যে এখন সারাদিন ফেসবুকে লগইন থাকি। এত এত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ দরকারি আলাপ..এত বিপ্লবী স্ট্যাটাস...দিন শেষে সত্যিকি এগুলোর মানে আছে? এত জরুরি আপডেটকি কখনোই আমাদের অগ্রগামি করেছে? নাকি সময়ের অতল গভীরেই হারিয়ে যাবে সব রাগ অনুরাগ। মিথ্যা প্রমানিত হবে সব আবেগ অনুভুতি।
- আকতার হাবিব
১৬.০৪.১৭ ইং (রাত ০২.০৩ মিনিট)