রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭

বন্ধ হলো সিটিং সার্ভিস: ভোগান্তি কমবে তো নগরবাসীর ?

বিআরটিএ এর ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে বন্ধ হয়েছে সিটিং সার্ভিস। এমন সিদ্ধান্তে আপাত হাফ ছেড়ে বেঁচেছে নগরবাসী। কিন্তু দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছেনা কারো। কারন আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা সুবিধা হলেও ভোগান্তি কমেনি এতটুকুও। নতুন এই নিয়মে বাসকর্তৃপক্ষের ভাড়া আদায়ে একতরফা রাহাজানি কিছুটা কমলেও ভাড়া কমেনি অনেক বাসেই। বরং উল্টো গাদাগাদি করে যাত্রী উঠানো ও অযথা সময়ক্ষেপনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে প্রবল।

গণপরিবহনের এই নৈরাজ্যের বিষয়টি উঠে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরেও। ফলে্ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সিদ্ধান্তের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে অনেকেই বিশ্লেষন করছেন।

দৈনিক প্রথম আলোর এক সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, মৃন্ময় মিন্টু নামের এক যাত্রী অভিযোগ করেন, মিরপুর ১ থেকে শাহবাগের বাসভাড়া তালিকা অনুযায়ী ১৬ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু দিশারী পরিবহন এখনো ২৫ টাকা নিচ্ছে। এম আর আবির নামে এক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, মিরপুর-১ থেকে হেমায়েতপুরের ভাড়া ২০ টাকা। কিন্তু নিচ্ছে ৩৫ টাকা। তা-ও যাত্রীদের দাঁড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ভোগান্তির আরো চিত্র ফুটে উঠেছে, জাগো নিউজ২৪ এর একটি প্রতিবেদনে, 

সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য যে। বাসের কোনো টিকেট সিস্টেম নাই। যাত্রীদের সাথে অনেক সময় চরম পর্যায়ের খারাপ ব্যবহার করা হয়। অনেকে জানেনা গন্তব্য স্থলের ভাড়া কত। যার থেকে পারে ইচ্ছা মতো ভাড়া নেওয়া হয়। বাস এক জায়গায় অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রতিবাদ করতে গেলে খারাপ ব্যবহারের শিকার হতে হয়।  আরেকটা খারাপ দিক হলো কার আগে কে যেতে পারে। চলন্ত অবস্থায় যাত্রী উঠতে, নামাতে গিয়ে অনেকে সময় এক্সিডেন্টের ঘটনা ও ঘটে। বাস গুলো কে নির্দিষ্ট স্টপিস মেইনটেইন করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হলো।


প্রতিফলন যাই হোক, বাস কর্তৃপক্ষের একতরফা নৈরাজ্য ঠেকাতে এটাযে একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় যে ভোগান্তির সৃষ্টি হবে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কতটা প্রস্তুত সেটাই এখন ভাবার বিষয়। 

যদিও রাজধানীতে সিদ্ধান্ত কার্যকরে ৫ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে কিন্তু এটা কতদিন চলবে তা নিয়েও সন্দিহান সাধারন মানুষ।
একজন সাধারন ও সচেতন নাগরিক হিসেবে যোগাযোগ সরকার, বিআরটিএ, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সিটি মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাবো- নগরীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের যে যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার সফল বাস্তবায়নের লক্ষে আপনাদের আরো কার্যকরি ভুমিকা দরকার।

সাধারন যাত্রীকুলের ভোগান্তিহীন বাসযাত্রা নিশ্চিত করতে ওভার লোডিং বন্ধ ও সরকারি ভাড়া তালিকা কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষ আরো উদ্যোগী হবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।


-আকতার হাবিব, (16.04.17/ 18:21)

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন