মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০১৪

রমজানে নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে কমিউিনিটি পুলিশিং কার্যক্রম

আকতার হোসেন : পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর নির্বিঘেœ পালন করতে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রহণ করা হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। নগরবাসীর নিরাপদে চলাফেরা, কেনাকাটা, ইবাদত বন্দেগী করতে বাড়ানো হয়েছে কমিউিনিটি পুলিশের কার্যক্রম। সে সাথে বাড়ানো হয়েছে ভেজাল বিরোধী অভিযান, চেকপোষ্ট ও মোবাইলকোর্ট।

মুসলমানদের কাছে রমজান মাস একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। নগরীতে অন্তত একটি মাস হলেও শান্তিতে চলাফেরা এবং ইবাদত বন্দেগী করতে চায় মানুষ। আর এরপরই রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদ। এ ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের প্রস্তুতি থাকে যেমন, তেমনি ভোগান্তিও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে লাখো ঢাকাবাসী। ফাঁকা হয়ে যায় ব্যস্ত নগরী ঢাকা। আর এ সুযোগে চুরি ডাকাতির মতো ঘটনাও ঘটে ফি বছর। ঈদকে সামনে রেখে রাস্তাঘাটে অসহনীয় যানজট, খাদ্যে ভেজাল, দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি, অতি মুনাফালোভীদের দৌরাত্ম্য ছাড়াও মলম পার্টি অজ্ঞানপার্টির তৎপরতা বেড়ে যায়। এসব থেকে নাগরিকদের মুক্তি দিতে প্রতিবছরই নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে প্রশাসন।

পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরেও বাড়তি ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জাস্ট নিউজকে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।

তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে নগরবাসী যেন ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে, নির্বিঘেœ শপিং করতে পারে, নিরাপদে ইবাদত বন্দেগী করতে পারে সে জন্য ডিএমপি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে কমিউিনিটি পুলিশের কার্যক্রম।

মাসুদুর রহমান বলেন, রমজান মানে ফরমালিন য্ক্তু ফলমুল ও সব্জি যাতে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। তাছাড়া খাদ্যে ভেজাল, অসা¯্য’কর খাদ্য সরবরাহ ও অতিরিক্ত পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সেখানে দোষীদের জেল জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া যানজট নিরসনেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাস্তাঘাটগুলোতে অবৈধ পার্কিং, ফুটপাতে দোকান উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

এছাড়াও রমজানে ব্যবসায়ী এবং ব্যাংকগুলোতে লেনদেনের সময় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষ সহায়তা থাকবে। তিনি বলেন, ব্যাংক এবং ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব বড় ধরণের টাকা লেনদেন করার পূর্বে তারা যেন নিকটস্থ থানাকে অবহিত করেন।

বাসা-বাড়ি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তা এলার্ম এবং গাড়িতে জিপিএস ব্যবহারের আহবান জানান তিনি।

পুলিশের এসব নিরাপত্তা ব্যাবস্থা পুরো রমজান জুড়ে এবং আগামী ঈদ উদযাপন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন